সিলেটটুডে ডেস্ক

৩০ জুন, ২০১৬ ০২:৩৫

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় ইস্তাম্বুল বিমানবন্দরের ভয়াবহতা

প্রাণভয়ে আতঙ্কিত যাত্রীরা ছুটছেন দিগবিদিক; কেউ ঢুকছেন কাচঘেরা কক্ষে, আবার পিলারের আড়ালে দাঁড়িয়ে কেউ করছেন আত্মরক্ষার চেষ্টা।

মঙ্গলবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক বিমানবন্দরে হামলাকারীরা গুলিবর্ষণ ও বোমার বিস্ফোরণ ঘটালে সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচার চেষ্টা করেন উপস্থিত লোকজন।

“এখানে বোমা আছে!” ভ্রমণকারীরা একে অপরকে সতর্ক করেন।

“একজন বন্দুক নিয়ে আসছে” বলতে শোনা যায় কাউকে কাউকে।

তুরস্কের ব্যস্ততম বিমাবন্দরে তিনজন এই হামলা চালিয়ে অন্তত ৪১ জনকে হত্যা করেন। হামলাকারীদের মধ্যে দুজন ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল টার্মিনালে এবং তৃতীয়জন কাছেরই পার্কিং লটে ছিলেন বলে তুরস্কের এক কর্মকর্তা সিএনএনকে জানান।

তারা তিনজনই আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটান।  

বিমানবন্দরে উপস্থিত অনেক যাত্রী ও কর্মীদের জন্য কী অপেক্ষা করছে তা বোঝার জন্য তেমন সময় ছিল না।

মাইন লিদিঙ্ক নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী সিএনএনকে বলেন, “সব জায়গায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। আমরা বুঝতে পারিনি যে, এটা সন্ত্রাসী হামলা ছিল।”

বিমানবন্দরের ব্যাগেজ এরিয়া থেকে ঝাঁকুনি অনুভব করেন উইল কার্টার। বিকট শব্দে দুই দফা বিস্ফোরণ ঘটে বলে জানান তিনি।

বিস্ফোরণে পুরো বিমানবন্দর কেপে ওঠায় খারাপ কিছু একটা বুঝতে পেরেছিলেন টার্নার।

“কিছু একটা ঠিক হচ্ছে না তা বোঝার মতো যথেষ্ট জোরালো শব্দ হয়,” সিএনএনকে বলেন তিনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত