সিলেটটুডে ডেস্ক

১৬ জুলাই, ২০১৬ ১৯:১১

সামরিক ট্যাঙ্ক আটকে দিল নিরস্ত্র জনতা

তুরস্কে সেনাদের একটি অংশের অভ্যুত্থান চেষ্টা শেষ পর্যন্ত জনগণের প্রতিরোধে প্রাথমিকভাবে ব্যর্থ হয়েছে। বিদ্রোহী সেনাদের ট্যাঙ্ক থামিয়ে দিয়েছে গণতন্ত্রপন্থী সাহসী জনগণ।

শুক্রবার রাতে সেনাদের একটি ক্ষুদ্র অংশ অভ্যুত্থানের চেষ্টা করে। ট্যাঙ্ক নিয়ে তারা বিভিন্ন সরকারি দফতর, গণমাধ্যম ও গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা দখলে নেয়ার চেষ্টা করে।

কিন্তু সেনা অভ্যুত্থানের খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাজপথে নেমে আসে তুরস্কের গণতন্ত্রপন্থী জনগণ। নিরস্ত্র জনগণের প্রতিরোধের মুখে থামতে বাধ্য হয় বিদ্রোহী সেনাদের।

অভ্যুত্থানের খবর ছড়িয়ে পড়লে মসজিদগুলো থেকে ফজরের নামাজের সময়ের কয়েক ঘণ্টা আগেই আজান ও কোরআন তেলাওয়াত শুরু হয়। রাজপথে নেমে আসতে থাকে সাধারণ মানুষ।

এদিকে অভ্যুত্থানের খবরে তুরস্কের পর্যটন শহর মারমারিসে অবকাশ যাপনে থাকা প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান ইস্তাম্বুলে ফিরে আসেন। তিনি বিমানবন্দরে উপস্থিত সমর্থকদের উদ্দেশে দেয়া ভাষণে সেনা অভ্যুত্থান প্রতিরোধে জনগণকে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান।

এরপর রাজধানী আংকারা, ইস্তাম্বুল, দিয়ারবাকির, ইদিরনে ও ডেনিজলি শহরসহ দেশটির প্রায় সবক'টি শহরের রাজপথে নেমে আসে গণতন্ত্রপন্থী জনগণ।

এ সময় গণতন্ত্রণের পক্ষে স্লোগান দিতে থাকে হাজার হাজার মানুষ। তারা 'অভ্যুত্থান নয়/সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সব সেনা' স্লোগান দিতে থাকে। তাদেরকে জাতীয় পতাকা হাতে দেখা যায়।

এর আগে সাধারণ মানুষকে পাথর ছুঁড়ে এবং লাঠি দিয়ে আঘাত করে ট্যাঙ্ক থামাতে দেখা যায়। তারা আটক বিদ্রোহী সেনাদের পুলিশে সোপর্দ করে। পরে তাদের সঙ্গে যোগ দেয় গণতন্ত্রপন্থী পুলিশ ও সেনারা।

শনিবার সকাল পর্যন্ত রাজধানী আংকারাসহ কয়েকটি শহরে বিচ্ছিন্ন গোলাগুলির খবর পাওয়া যাচ্ছে। এ ঘটনায় অন্তত ৯০ নিহত হয়েছেন। ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাসহ ১হাজার ৫৬৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত