সিলেটটুডে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

২৯ জুলাই, ২০১৬ ০৩:২৩

পাকিস্তানে স্মার্টফোনের চেয়েও সস্তা বন্দুক!

পাকিস্তানের আদিবাসী শহর দারা আদামখেলের বাজারে বেআইনি সব ধরনের জিনিস বিক্রি হয় অত্যন্ত সস্তায়! বলিউড ছবি ‘রামলীলা’য় বন্দুকের বাজারের দৃশ্য দেখানো হয়েছিল। দেদারসে বিক্রি হচ্ছে ছোট বড় নানা মাপের পিস্তল। বন্দুক ঠিকঠাক চলছে কি না, আকাশে গুলি ছুড়ে পরীক্ষাও করে নেওয়া যায়।

পাক মুলুকের এই শহরের ছবিটাও সেই একই। পেশোয়ার থেকে ৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণের এই বাজারটির রমরমা ব্যবসা অবশ্য এখন অতীত। ১৯৮০’র শুরুর দিকে অভিভক্ত রাশিয়ার সেনার বিরুদ্ধে আফগানিস্তানের লড়াইয়ের সময় মুজাহিদিনরা এই বাজার থেকেই হাতিয়ার কিনত। পরবর্তীকালে পাকিস্তানি তালিবানিদের কাছে বন্দুকের বাজারটি একপ্রকার অস্ত্রাগারে পরিণত হয়। বর্তমানে অবশ্য বেআইনি কারবার প্রায় পুরোটাই বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে।

বন্দুক নির্মাতা খিতাব গুল জানিয়েছেন, নজরদারির জন্য শহরের প্রতিটি কোণে চেকপয়েন্ট বসিয়ে দিয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। ফলে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হয়েছে তাদের। ২০০৭ পর্যন্ত গোপনে সেখানে বন্দুক তৈরি ও বিক্রির কাজ চলত। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বন্দুক রপ্তানিও হতো এখান থেকে।

গুল জানালেন, গত দশ বছরে প্রায় ১০ হাজার বন্দুক বিক্রি করেছেন তিনি। একটির বিরুদ্ধেও অভিযোগ ওঠেনি। MP5, কালাশনিকভের মতো বন্দুকগুলো স্মার্টফোনের থেকেও কম দামে বিক্রি হতো। তবে এখন সবই বন্ধ এখানে। বারুদের গন্ধ নাকে এলেও বন্দুকের চাহিদার ছিটে-ফোঁটাও আর নেই। বন্দুকের দোকান পরিণত হয়েছে মুদিখানায়। কাজের অভাবে ভুগছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর জন্য প্রধানমন্ত্রীকে দোষারোপ করতেও ছাড়ছেন না তাঁরা। স্থানীয়দের ভয়, সরকার শীঘ্রই কোনো পদক্ষেপ না নিলে দারা আদামখেল নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে৷ সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন

আপনার মন্তব্য

আলোচিত