ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

০৫ আগস্ট, ২০১৬ ১২:৪৩

পাকিস্তানি সেনাদের ৩০ কোটি ডলার দিচ্ছে না পেন্টাগন

জঙ্গিবিরোধী অভিযানে পাকিস্তানের ভূমিকা সন্তোষজনক না হওয়ায় পেন্টাগন পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীর জন্য বরাদ্দ ৩০ কোটি মার্কিন ডলারের অনুদান প্যাকেজ স্থগিত করেছে।

এর আগে গত মার্চে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কেনার জন্য বরাদ্দ ৭০ কোটি মার্কিন ডলার আটকে দেয় মার্কিন কংগ্রেস। এনিয়ে পাঁচ মাসের মধ্যে পাক সেনাবাহিনীর ১০০ কোটি ডলার আটকে গেল।

পাকিস্তানকে কোয়ালিশন সাপোর্ট ফান্ড বা সিএফএফ-এর আওতায় ৩০ কোটি ডলার দেয়ার কথা ছিল আমেরিকার। যে সব সহযোগী দেশ জঙ্গি এবং সন্ত্রাসবাদ বিরোধী অভিযান চালানোর জন্য অর্থ ব্যয় করে, তাদের সাহায্য করার জন্যই মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই তহবিল।

পাকিস্তান দীর্ঘদিন ধরেই পেন্টাগনের কাছ থেকে এই সাহায্য পেয়ে আসছিল এবং তারাই এই তহবিল থেকে সর্বাধিক সাহায্যপ্রাপ্ত দেশ। কিন্তু যে পরিমাণ অর্থ এই দীর্ঘ সময়ে পাকিস্তানকে দেওয়া হয়েছে, জঙ্গিবিরোধী অভিযানে পাকিস্তানের ভূমিকা ততটা উল্লেখযোগ্য নয় বলে আমেরিকা মনে করছে। তাই এই অনুদান আটকে দেওয়া হচ্ছে বলে পেন্টাগন জানিয়েছে।

সিএসএফ-এর আওতায় পাকিস্তানকে অনুদান দেওয়ার ক্ষমতা পেন্টাগনের হাতে থাকলেও, মার্কিন কংগ্রেস সেই সিদ্ধান্ত পাশ করাতে হয়। কিন্তু গত কয়েক বছরে সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে পাক ভূমিকা এতই খারাপ যে মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব অ্যাশটন কার্টার মার্কিন কংগ্রেসে পাকিস্তানের হয়ে কোনও কথা বলবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে যে ৩০ কোটি মার্কিন ডলার পাকিস্তানকে দেওয়ার কথা ছিল, সেই সিদ্ধান্তে মার্কিন কংগ্রেসের সিলমোহর পড়ার কোনও প্রশ্নই উঠছে না আর।

বুধবার পেন্টাগনের মুখপাত্র অ্যাডাম স্ট্যাম্প বলেছেন, 'এই মুহূর্তে পাকিস্তানকে অর্থ সাহায্য দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ প্রতিরক্ষা সচিব মনে করছেন, পাকিস্তান হাক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে যথেষ্ট ব্যবস্থা নেয়নি।'

গত মার্চ মাসে ৭০ কোটি মার্কিন ডলারের অনুদান বাতিল করেছিল আমেরিকা। মার্কিন সিনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান রিপাবলিকান সিনেটর বব কর্কার নিজেই পাকিস্তানকে সাহায্য দেওয়া আটকাতে তৎপর হয়েছিলেন।

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদীদের সাহায্য করার অভিযোগ তুলে তিনি বলেছিলেন, বৈদেশিক সম্পর্ক সংক্রান্ত কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে তার যে ক্ষমতা রয়েছে, তা প্রয়োগ করে তিনি পাকিস্তানকে অর্থ সাহায্য দেওয়া আটকাবেন।

বৈদেশিক সেনাবাহিনীকে সাহায্যের জন্য মার্কিন সরকারের যে তহবিল, তার থেকেই ওই ৭০ কোটি ডলার পাকিস্তানকে দেয়ার কথা ছিল। ওই টাকার ভরসাতেই পাকিস্তান এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সে তহবিল আটকে যাওয়ায়, পাক সেনা এফ-১৬ কিনতে পারেনি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত