২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ১৪:১৭
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো আন্তঃসীমান্ত জ্বালানি বাণিজ্য অবাধ করার লক্ষ্যে আঞ্চলিক ভিত্তিতে বৈদ্যুতিক গ্রিডের মান, কোড ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সমন্বয় করতে একমত হয়েছে। একইসাথে এসব দেশ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অর্জিত অগ্রগতি পর্যালোচনার জন্য বছরে দুবার বৈঠকে বসতেও রাজী হয়েছে। পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থার (সার্ক) জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক দুদিনের বৈঠক শেষে শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে দেশটির ন্যাশনাল ইলেক্ট্রিক পাওয়ার রেগুলেটরি অথোরিটি (নেপরা)।
নেপরার সভাপতি তারিক সাদ্দোজাই বলেন, সার্কের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য আন্তঃসীমানা জ্বালানি বাণিজ্য সুদৃঢ় করতে হবে। তাই প্রচলিত ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি সম্পদের কার্যকর উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সব দেশের সহযোগিতা করা প্রয়োজন।
তিনি জানান, সার্কভুক্ত দেশগুলো জ্বালানি ব্যবস্থার কার্যকরী কর্মপরিকল্পনার বিষয়ে একটি সমন্বিত চুক্তিতে পৌঁছেছে। সংস্থাটির পরবর্তী বৈঠকগুলোতে এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। বিষয়টি সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়েও একমত হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো।
বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, সার্কভুক্ত দেশগুলোর জাতীয় জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ বছরে দুবার বৈঠকে মিলিত হবে। ‘সার্ক কাউন্সিল অব এক্সপার্টস অব এনার্জি রেগুলেটরসের (ইলেক্ট্রিসিটি)’ অধীনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এসব বৈঠকে সার্ক এনার্জি ফ্রেমওয়ার্ক কো-অপারেশন এগ্রিমেন্ট (ইলেক্ট্রিসিটি) বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে অর্জিত অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। বৈঠকে বাংলাদেশের এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন প্রস্তাবিত জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় দাপ্তরিক সেবা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।
এ প্রকল্প বাস্তবায়নে সার্কের প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্র চলতি বছরের ২০ অক্টোবর থেকে দুজন করে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ করবে। এরই মধ্যে ভুটান, নেপাল ও ভারত প্রকল্পটিকে অনুমোদন দিয়েছে। বাকি সদস্য রাষ্ট্রগুলো ১৯ তম সার্ক শীর্ষ সম্মেলনের আগেই প্রয়োজনীয় অনুমোদন দেবে বলে বৈঠকে জানিয়েছে।
সার্কের জ্বালানি নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক বৈঠকটিতে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানে বাংলাদেশ হাইকমিশনের ডেপুটি হাইকমিশনার নাজমুল হুদা, মালদ্বীপ হাইকমিশনের ডেপুটি হেড অব মিশন আহমেদ মুজবতা, ভারতীয় হাইকমিশনের প্রথম সচিব রঘুরাম, আফগানিস্তানের হাইকমিশনের প্রথম সচিব মুজতবা ইয়াসীন, ভুটানের বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের মনিটরিং বিভাগের প্রধান থাক্তেন ওয়াংমো, নেপালের ইলেক্ট্রিসিটি ট্যারিফ ফিক্সেশন কমিশনের সদস্য অম্বু ভবানী কর্কি, শ্রীলঙ্কার পাবলিক ইউটিলিটিস কমিশনের চেয়ারম্যান সিএন সেলিয়া ডব্লিউ ম্যাথিউ ও ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল জার্মিনি হেরাথ। সূত্র: ডন
আপনার মন্তব্য