সিলেটটুডে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

১৪ ডিসেম্বর, ২০১৬ ১৩:১৮

শেষ হলো আলেপ্পোর যুদ্ধ

দীর্ঘ চার বছর পর শেষ হলো সিরিয়ার আলেপ্পোতে চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। এই খুশিতে মেতে ওঠেন পশ্চিম আলেপ্পোর সাধারণ জনতা।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, ভিতালি চুরকিন জাতিসংঘের জরুরি সেশনে বলেছেন, ‘সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পূর্ব-আলেপ্পোতে সামরিক অভিযানের অবসান ঘটেছে।’ এর আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে আলেপ্পো ত্যাগ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্রস্তাব কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কার্যকরী হতে পারে।
চারকিন বলেন,  ‘সাধারণ নাগরিকরা আলেপ্পোতে থাকতেও পারেন, আবার নিরাপদ স্থানে চলে যেতেও পারেন। তাঁরা বিভিন্ন সেবামূলক কর্মকাণ্ডের সুবিধাও নিতে পারেন। তাদের কেউ ক্ষতি করবে না।’

কয়েক মাস ধরেই রুশ বিমানবাহিনীর সহযোগিতায় আলেপ্পোতে বিদ্রোহীদের কোণঠাসা করে ফেলে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বাহিনী। রাশিয়া ও ইরানের সহযোগিতা পাওয়া সিরিয়ার বিশেষ বাহিনী যুদ্ধ ক্ষেত্রে নিয়ম বহির্ভূতভাবে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে অভিযোগ এনে যুদ্ধ সমাপ্তির চুক্তি প্রস্তাব করে জাতিসংঘ।

আলেপ্পো থেকে সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, গত কয়েক ঘণ্টায় ওই এলাকায় বোমা হামলা বা লড়াই হয়নি। তবে এই চুক্তির খবর প্রকাশের কয়েক ঘণ্টা আগেই জাতিসংঘের এক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। তাতে সিরিয়ার সরকার সমর্থিত বাহিনীর হাতে বেসামরিক নাগরিক হত্যার অভিযোগ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই বাহিনীর হাতে বেসামরিক নাগরিক হত্যার পক্ষে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ রয়েছে। জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্র এ ধরনের নৃশংসতার জন্য সিরিয়া সরকারের পাশাপাশি দায়ী করেছে সিরিয়ার মিত্রশক্তি রাশিয়া ও ইরানকে। তবে রাশিয়া এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

আলেপ্পোতে এখন আটকা পড়ে রয়েছেন ৫০ হাজার মানুষ। তাদের মধ্যে এক হাজার ৫০০ জন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সদস্য। বিদ্রোহীদের অনেকেই জিহাদি গোষ্ঠী আল-নুসরা ফ্রন্টের সদস্য।

তবে আলেপ্পো পুনর্দখলের পর এটাকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের জন্য একটি বড় জয় হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা। তাঁদের মতে, সিরিয়া সরকারের পাশাপাশি এটা রাশিয়া ও ইরানের জন্য একটি বড় জয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত