সিলেটটুডে ডেস্ক

০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ০০:২১

৮ দিনে ৬০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে

মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন বাহিনীর নির্যাতনে গত ৮ দিনে বাংলাদেশে প্রায় ৬০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। তাদের সহযোগিতায় বিভিন্ন সাহায্য সংস্থাকেও হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানায় জাতিসংঘ।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে এমনটি বলা হয়েছে।

জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এর কর্মকর্তা ভিভিয়ান ট্যান বলেছেন, ‘যেভাবে লোক আসছে তাতে আর কয়েক দিনেই সীমান্তে যে শিবিরটি আছে তা পুরো ভরে যাবে।’

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গত সপ্তাহে সন্দেহভাজন রোহিঙ্গা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। কিন্তু বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা বলছে, সৈন্যরা তাদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে এবং তাদের অনেককে গুলি করে হত্যা করেছে। তবে মিয়ানমারের সরকার বলছে তারা জঙ্গি দমনে কাজ করছে।

সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, ‘এখনো প্রতিদিনই হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশ পালিয়ে আসছে। জাতিসংঘের সর্বশেষ হিসেবে শনিবার পর্যন্ত ৫৮ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে।’

মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ শনিবার জানায়, সেখানে কেবল একটি রোহিঙ্গা গ্রামেই সাতশো বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে তারা স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে দেখতে পেয়েছে।

বাংলাদেশের সীমান্ত-রক্ষী বাহিনী (বিজিবি) ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, রোহিঙ্গারা যাতে বাংলাদেশে ঢুকতে না পারে, সেজন্য তারা সীমান্তে তৎপর রয়েছেন। কিন্তু গত দু'দিন ধরে সীমান্তে কিছুটা শিথিলতা দেখানো হচ্ছে বলে সূত্রগুলো অনানুষ্ঠানিকভাবে বলছে।

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম জানান, একেবারে দুস্থ মহিলা এবং শিশুদের জন্যে কিছুক্ষেত্রে মানবিক দিক বিবেচনা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘মানবিক দিক বিবেচনা করে যারা নিতান্তই অসুস্থ বা বৃদ্ধ মহিলা, শিশু এবং বেশ কিছু আহত, তাদেরকে তো আমাদের আশ্রয়, খাদ্য, চিকিৎসা, এগুলো না দিলেই নয়। এটা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আগেও বলেছেন, এখনও আমরা সেটা দিয়ে চলেছি।’

এইচ টি ইমাম আরও বলেছেন, ‘মিয়ানমারের অভ্যন্তরে যারা এই আক্রমণের শিকার, তাদের নিরাপত্তা দিতে হলে মিয়ানমারের মধ্যেই দিতে হবে। এটা আন্তর্জাতিক রেড ক্রসই করতে পারে।’

কক্সবাজার থেকে রেড ক্রিসেন্টের সহকারী পরিচালক সেলিম আহমেদ বলেছেন, ‘গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে সংঘাত শুরুর পরপরই রোহিঙ্গা যারা বাংলাদেশে ঢুকেছে, তাদের বেশির ভাগই উখিয়ার কুতুপালংয়ে নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত