সিলেটটুডে ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ১৪:৪৫

আইএস, আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক নেই: আরসা

আন্তর্জাতিক কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগসূত্র থাকার কথা অস্বীকার করেছে রোহিঙ্গাদের বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)।

জঙ্গি সংগঠন আল কায়েদার সঙ্গেও তাদের কোন সম্পর্কের কথাও অস্বীকার করেছে। খবর বার্তা সংস্থা এএফপির।

বৃহস্পতিবার আরসা এক বিবৃতিতে দাবি করে, দীর্ঘদিন ধরে নিপীড়নের শিকার মিয়ানমারের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের রক্ষা করার চেষ্টা করছেন তারা। মিয়ানমার সরকার তাদের নাগরিকত্ব দিতেও অস্বীকার করে আসছে।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আল কায়েদা বিশ্বের মুসলমানদের রোহিঙ্গাদের সাহায্যের আহ্বান জানিয়েছে। মিয়ানমার সেনা ও পুলিশের এই অত্যাচার রুখে দিতে বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান ও ফিলিপাইনের মুজাহিদ ভাইদের মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমদের পাশে অস্ত্র, প্রশিক্ষণ প্রদানসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য কিছু নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায়।

বৃহস্পতিবার আরসা তাদের টুইটারে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, আল-কায়েদা, ইসলামিক স্টেট(আইএসআইএস), লস্কর-ই তাইয়েবা বা অন্য কোনো আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।

জাতিসংঘের তথ্য মতে, গত ২৫ আগস্ট থেকে মিয়ানমার সেনা, পুলিশ ও বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের দমন-পীড়নের শিকার হয়ে তিন লাখ ৭০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। বিশ্বের সব বড় শরণার্থী ক্যাম্পগুলোর একটিতে পরিণত হয়েছে কক্সবাজার।

মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, আরসার হামলার কারণ দেখিয়ে মিয়ানমার সরকার ১১ লাখ রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বিতাড়িত করার চেষ্টা করছে।

অবশ্য মিয়ানমার ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী অং সান সু চি এই ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের ‘চরমপন্থি সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এই গোষ্ঠীটি রাখাইনের একটি অংশে ইসলামিক শাসন কায়েম করতে চায়।

রাখাইনের কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়ি ও তল্লাশিচৌকিতে গত ২৫ আগস্ট রাতে সন্ত্রাসী হামলা হয়। এর জেরে সেখানে নতুন করে সহিংস সেনা অভিযান শুরু হয়। মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী নিরস্ত্র রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুদের ওপর নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালাতে থাকে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত