সিলেটটুডে ডেস্ক

০৬ ডিসেম্বর, ২০১৭ ১১:১৪

রোহিঙ্গা নির্যাতনকে গণহত্যা বলল জাতিসংঘ

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার জেইদ রাদ আল-হুসেইন বলেছেন, রাখাইনে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অপরাধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে দোষী করা যেতে পারে।

মঙ্গলবার জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের (ইউএনএইচআরসি) বিশেষ অধিবেশনে একথা বলেন জেইদ।

জাতিসংঘ কর্মকর্তারা এতদিন রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে চালানো সহিংসতাকে জাতিগত নির্মূল অভিযানের জ্বলন্ত উদাহারণ (টেক্সটবুক এথনিক ক্লিনজিং) বলে বর্ণনা করে আসছিলেন। এখন গণহত্যা শব্দটি উচ্চারিত হওয়ায় মিয়ানমারের ওপর চাপ বাড়ল এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর দীর্ঘদিনের নিপীড়ন-সহিংসতা নিয়ে জাতিসংঘের গভীর উদ্বেগটিও প্রকাশ পেল।

রোহিঙ্গা মুসলমানদের উপর নির্যাতন-নিপীড়ন নিয়ে আলোচনার জন্য বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের প্রস্তাবে ইউএনএইচআরসি’র বিশেষ এই আধিবেশন বসে। অধিবেশনে জেইদ রোহিঙ্গা গ্রামগুলোতে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর দমনপীড়নের বিভিন্ন প্রতিবেদন নিয়ে তৈরি করা একটি প্রতিবেদন পড়ে শোনান।

তিনি বলেন, “এই প্রতিবেদনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুর অত্যাচারের বর্ণনা দেওয়া আছে। যার মধ্যে লোকজনকে জোর করে তাদের বাড়ির মধ্যে আটকে রেখে আগুনে পুড়িয়ে মারা, নির্বিচারে হত্যা, পালাতে থাকা বেসামরিক মানুষদের উপর গুলি, নারী ও মেয়ে শিশুদের গণহারে ধর্ষণ এবং বাড়ি, স্কুল, বাজার ও মসজিদ পুড়িয়ে দেওয়া বা ধ্বংস করার কথা আছে।”

৪৭ টি সদস্যদেশের পরিষদের কাছে প্রশ্ন রেখে জেইদ বলেন, “গণহত্যা প্রমাণের জন্য এখানে সম্ভাব্য যে সব উপাদানের কথা উল্লেখ আছে তা কি আপনারা কেউ উড়িয়ে দিতে পারবেন?”

এর পেছনে দায়ীদের বিরুদ্ধে স্বাধীনভাবে অপরাধ তদন্তের ব্যবস্থা চালুর জন্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদকে অনুরোধ জানানোরও আহ্বান জানান তিনি।

জেইদ বলেন, রাখাইনের প্রকৃত অবস্থা সেখানে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করার আগে এই রোহিঙ্গাদের সেখানে ফেরত পাঠানো উচিত হবে না।

এ বছরের অগাস্ট মাস থেকে এ পর্যন্ত ৬ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম মিয়ানমার ছেড়ে পালিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত