আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৫ মে, ২০১৮ ২২:৪৮

কিশোরীকে ধর্ষণের পর জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা

ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে গণ ধর্ষণের পর নিজ ঘরের ভিতরেই জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার (৪ মে) ওই কিশোরীকে তার ঘরে পুড়িয়ে মারা হয়। এর আগের রাতে তাকে যারা ধর্ষণ করেছিল তারাই তাকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারে বলে অভিযোগ উঠেছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।

এ ঘটনায় ২০ জনকে অভিযুক্ত করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, “একটি বিশেষ তদন্ত দল তৈরি করা হয়েছে, তারাই মামলাটি তদন্ত করছেন”

এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঝাড়খণ্ডের মাওবাদী অধ্যুষিত ছত্র জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে।

নিহত কিশোরীর পরিবার জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৩ মে) রাতে চার ব্যক্তি, যারা মাতাল ছিল বলে অভিযোগ, ওই কিশোরীকে তাদের বাড়ি থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সেই সময় কিশোরীর বাড়ির সবাই একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে থাকায় কিশোরী একাই বাড়িতে ছিল।

ওই ব্যক্তিরা কিশোরীটিকে একটি নির্জন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।

কিশোরীর বাবা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ও অন্যান্য সদস্যদের কাছে এ ঘটনার কথা জানানোর পর তারা ‘ঘটনাটি মিটমাট’ করে ফেলার পরামর্শ দেন।

পঞ্চায়েতের বিচারে অভিযুক্তদের ১০০ বার কান ধরে ওঠবস করানো হয় ও ৫০ হাজার রুপি জরিমানা করা হয়।

গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে যাওয়ায় কিশোরীর পরিবারের ওপর ক্রুদ্ধ হয় অভিযুক্তরা। তারা জোর করে ওই কিশোরীদের বাড়িতে প্রবেশে করে তার বাবা-মাকে মারধর করে এবং কিশোরীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ করে পরিবারটি।

ঘটনাটিকে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে না নেওয়ায় গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সেই সাথে নিহতের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে আড়াই লাখ রুপি দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে স্থানীয় জেলা প্রশাসন।

ভারতে শিশু ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করার ১৩ দিনের মধ্যে এ ঘটনাটি ঘটে। এছাড়াও একের পর এক শিশু ধর্ষণ ঘটনার মধ্যে পুরো ভারত জুড়েই যখন জনগণ ক্ষুব্ধ তার মধ্যেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

নারী শিশুদের ওপর যৌন সহিংসতা নিয়ে দেশব্যাপী তৈরি হওয়া ক্ষোভ প্রশমিত করতে মোদী সরকার নারী ও শিশু
ধর্ষণের মামলায় তদন্তের জন্য দুই মাস ও বিচারের জন্য দুই মাসের বেশি সময় নেওয়া যাবে না বলে আদেশ জারি করেছে গত মাসেই। পাশাপাশি ধর্ষিতার বয়স ১৬ বছরের বেশি হলে ধর্ষণকারীর নূন্যতম সাজা ১০ বছর কারাবাস, আর ১৬ বছরের নিচে হলে নূন্যতম কারাদণ্ড ২০ বছর নির্ধারণ করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত