ইন্টারন্যাশনাল ডেস্ক

৩০ জুন, ২০১৫ ০১:২৩

যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধীতা সত্বেও এশীয় ব্যাংকের যাত্রা শুরু

বিশ্বব্যাংক ও এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে চীনের নেতৃত্বে আসছে নতুন আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এশিয়া ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি)।

সোমবার (২৯ জুন) এ ব্যাংকে যোগ দিতে চীনের বেইজিংয়ের গ্রেট হলে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৫০টি দেশের প্রতিনিধিরা এ সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এ বছরের শেষ দিকে আরো সাতটি দেশ যোগদানের কথা রয়েছে। খবর বিবিসি’র।

চীনের নেতৃত্বাধীন এই ব্যাংকে প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে ভারত, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য, জামার্নি, অস্ট্রেলিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়া যোগ দিলেও যোগ দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান। বরং ব্যাংকটির প্রশাসন নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাতে যোগ না দেয়ার জন্য মিত্র দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।

চীনের অর্থমন্ত্রী লুউ জিয়েই দৃঢ়তার সঙ্গে জানান, এ বছরের শেষ দিকেই এশিয়া ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনেভস্টমেন্ট ব্যাংক যাত্রা শুরু করবে। গত অক্টোবরে চীনের নেতৃত্বে ২১ টি দেশ এআইআইবি গঠন করে। ব্যাংকটি এশিয়ায় জ্বালানি, পরিবহন ও অবকাঠামো উন্নয়নে তহবিলের জোগান দেবে।

চুক্তিতে প্রত্যেক সদস্যের শেয়ার ও ব্যাংকের প্রাথমিক মূলধনে কার অংশগ্রহণ কেমন হবে তা উল্লেখ করা হয়েছে। এশিয়া অঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৩ সালে এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন সামিটে শি জিনপিং এ ব্যাংক গঠনের ঘোষণা দেন।

এরপর আলোচনার এক পর্যায়ে গত বছরের অক্টোবরের শেষে এআইআইবি প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশসহ ২২টি এশীয় দেশ একটি সমঝোতা স্মারকে (এমওইউ) সই করে। এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও লাতিন আমেরিকার অধিকাংশ দেশ এআইআইবি’র সঙ্গে যোগ দিয়েছে।

সমঝোতা অনুযায়ী, ব্যাংকটির সদরদপ্তর বেইজিংয়ে স্থাপন এবং বহুপক্ষীয় অন্তর্বতীকালীন সচিবালয়ের মহাসচিব হিসেবে জিন লিকুনকে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। ৫০ বিলিয়ন অনুমোদিত মূলধন নিয়ে কাজ শুরু করবে এআইআইবি। ‘আর্টিকেল অব এগ্রিমেন্ট’ অনুযায়ী ব্যাংকের অনুমোদিত মূলধন ধরা হয়েছে ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

রয়টার্স জানায়, মূলধনের ৩০ দশমিক ৩৪ শতাংশ দেবে চীন। তারা ব্যাংকটির সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার। এরপরই আছে ভারত। তারা খুব সম্ভবত ১০ থেকে ১৫ শতাংশ মূলধনের যোগান দেবে। রাশিয়া ও জার্মানি যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে আছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত