প্রথমবারের মতো প্রবর্তিত হওয়া মাদার তেরেসা রত্ন সম্মাননা পাচ্ছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। রোববার (২৬ আগস্ট) কলকাতার সত্যজিত রায় অডিটোরিয়ামে মাদার তেরেসার ১০৮তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১৯তম আন্তর্জাতিক মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড মঞ্চে এমনই ঘোষণা করেন কমিটির চেয়ারম্যান অ্যান্থনি অরুণ বিশ্বাস।

অ্যান্থনি অরুণ বিশ্বাস বলেন, ২০০১ সালে প্রথম মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ড সোনারগাঁও হোটেলে আমি নিজহাতে তুলে দিই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে। এরপর সমাজের বহু বিশিষ্টজন কলকাতায় এসে এই অ্যাওয়ার্ড নিয়েছেন। আমরা ঠিক করেছি ২০১৯ সালে থেকে মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ডের পাশাপাশি মাদার তেরেসা রত্ন সম্মাননা চালু করবো।

তিনি আরো বলেন, ‘প্রথম মরণোত্তর মাদার তেরেসা রত্ন সম্মাননা দেওয়া হবে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তিনি বলেছেন, কলকাতায় গিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না। আপনারা যদি বাংলাদেশে এসে এই সম্মাননা দেন তাহলে আমি ও আমার বোন সাদরে গ্রহণ করবো।’

সমাজে শান্তি, সমতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য কোনো ব্যক্তি বা সংগঠনকে ‘মাদার তেরেসা রত্ন’ পুরষ্কার প্রদান করা হয়। আব্রাহাম মাথাই প্রতিষ্ঠিত ‘হারমনি ফাউন্ডেশন’ এই পুরস্কারটি দিয়ে থাকে।

অরুণ বিশ্বাস বলেন, গত ১৮ বছর ধরে সমাজের বিশিষ্ট ব্যাক্তিদের এ সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে সমাজে নানা অবদানের জন্য। সে ধনী হোক বা দরিদ্র। ভারত ছাড়াও আমরা বাংলাদেশের একাধিক বিশিষ্টজনকে এই সম্মননা দিতে পেরে আমরা নিজেদের গর্বিত মনে করি।

এবার বাংলাদেশ থেকে যৌথভাবে ১৯তম মাদার তেরেসা অ্যাওয়ার্ডের পেলেন বাংলাদেশের টিএম প্রোডাকশনের দুই ব্যক্তিত্ব। সামাজিক অবদানের জন্য স্বীকৃতি হিসাবে এই সম্মাননা পান টিএম প্রোডাকশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও কৌশিক হোসেন তাপস ও চেয়ারপারসন ফারজানা মুন্নি।

এর আগে ‘মাদার তেরেসা’ পুরস্কার পান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মণিসহ বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি।