আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৩ ডিসেম্বর, ২০১৮ ১৫:৪৫

দেশের প্রতিরক্ষার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাবে ইরান

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাবে ইরান। দেশের প্রতিরক্ষার জন্য ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাবে তারা।

রোববার (২ ডিসেম্বর) ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয় এতে জাতিসংঘের সিদ্ধান্তের কোনো লঙ্ঘন হচ্ছে না বলে মনে করছে দেশটি।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ তোলে, ইরান আগের তুলনায় বহুগুণ ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ ওঠার পর ইরানের পক্ষ থেকে এমন ঘোষণা দেওয়া হলো।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে জানানো হয়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও শনিবার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ২০১৫ সালে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে যে আন্তর্জাতিক চুক্তি হয়েছিল, তা লঙ্ঘন করে মাঝারি পাল্লার আন্ত:মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে তারা। অবশ্য ২০১৫ সালের ওই চুক্তি থেকে চলতি বছর সরে এসেছে যুক্তরাষ্ট্র।

ইরানের সেনা মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল শেখারচি বলেন, ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা...প্রতিরক্ষা ও দেশের সুরক্ষার জন্য পরিচালিত হয় এবং এই পরীক্ষা চালিয়ে যাব।

তবে নতুন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয়েছে কি না, সে বিষয়ে কিছু বলেননি আবুল ফজল।

শেখারচি বলেন, উন্নয়ন ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা উভয়ই আমরা চালিয়েই যাব। এ কাজের জন্য আমরা অন্য দেশের অনুমতির পরোয়া করি না।

এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন এক টুইটে বলেন, ইরান যে আন্ত:মহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে, তা ইউরোপ ও ইসরায়েল পর্যন্ত যেতে সক্ষম। ইরানের এই আচরণ সহ্য করার মতো নয়।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি বলেন, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো পুরোপুরি আত্মরক্ষামূলক। এতে নিরাপত্তা পরিষদের আইন লঙ্ঘন হয়নি।

২০১৫ সালে ইরানকে পারমাণবিক কর্মসূচি থেকে বিরত থাকতে যুক্তরাজ্য, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র একটি পারমাণবিক চুক্তি করে। এটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর রেজ্যুলেশনে স্থান পায়।

চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়, আগামী আট বছর ইরান এমন কোনো ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করবে না, যা পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম। চলতি বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অবশ্য এই চুক্তি থেকে সরে আসেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত