আন্তর্জাতিক ডেস্ক

০৫ ফেব্রুয়ারি , ২০১৯ ২২:৫৩

৪৬ ঘণ্টা পর ধর্না তুলে নিলেন মমতা

মেট্রো চ্যানেলে ধর্না শুরুর টানা ৪৬ ঘণ্টা পর তা তুলে নিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডুকে পাশে নিয়ে ধর্না প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

মমতা বলেন, “ভারতের গণতন্ত্রকে বাঁচানোর লক্ষ্যে ছিল এই ধর্না। এই ধর্না কোনোভাবেই রাজনৈতিক ধর্না ছিল না। এই ধর্না ছিল ভারতকে রক্ষার উদ্দেশ্যে। সেভ ইন্ডিয়া ব্যানারে এই ধর্না ছিল আইপিএস (পুলিশ) ও আইএএস (প্রশাসন) এর সম্মান রক্ষার জন্য।

মমতা বলেন, সব বিরোধীরা সমর্থন জানিয়েছেন এই ধর্নায়। বহু সরকারি সংগঠন, সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন এই ধর্নাকে সমর্থন জানিয়েছেন। পাশে থাকার জন্য ধর্না প্রত্যাহারের মুহূর্তে সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানাই। মহাজোটের অনুরোধ মেনেই তিন দিনের মাথায় সত্যাগ্রহ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হলো বলেও জানান মমতা।

একইসঙ্গে, পরবর্তী কর্মসূচির কথাও ঘোষণা করেন মমতা। জানালেন, ১৩ বা ১৪ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে বিরোধীদের মিটিং হবে। তারপরই স্থির হবে পরবর্তী কর্মসূচি। সেইসঙ্গে সত্যাগ্রহ মঞ্চ থেকে মমতা বলেন,  মোদির একনায়কতন্ত্রের প্রতিবাদে আন্দোলন তিনি চালিয়ে যাবেন। আগামী ১৩ এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ধর্না কর্মসূচি পালন করবেন তিনি। সেই ধর্নায় সামিল হবেন মহাজোটের সব রাজনৈতিক দলগুলি। 

রোববার ৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় চিটফান্ড কেলেঙ্কারি তদন্তে কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে জেরা করতে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। সেই সময় সিবিআইকে আটকে কলকাতা পুলিশ ও সিবিআই কর্মকর্তাদের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। তাদেরকে আটক করে থানায় পর্যন্ত নিয়ে যায় কলকাতা পুলিশ। তারপরেই ঘটনাস্থলে এসে ক্ষোভ উগরে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

মমতার অভিযোগ, প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়েই কেন্দ্রীয় সরকার সিবিআইকে লেলিয়ে দিচ্ছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত