সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ ফেব্রুয়ারি , ২০১৬ ১৯:৪২

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ২০০ যুদ্ধাপরাধীর তালিকা প্রকাশ

আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণ বিচার আন্দোলন যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানি ২০১ জন সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে।

তালিকায় যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানীদের নাম, পদবী ও ব্যক্তিগত পরিচিতিও প্রকাশ করা হয়।

মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তালিকা প্রকাশ করেন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলনের আহবায়ক ও নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। খবর বাসস।

‘যুদ্ধাপরাধী পাক সেনা সদস্য ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নারী ধর্ষণ , অগ্নি সংযোগ বাঙ্গালি হত্যা ও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত’ এ কথা ঘোষণা করে নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, আমরা ইতোমধ্যে অপরাধীদের তালিকা সংগ্রহ ও তৈরি করতে গিয়ে পূর্ব ঘোষিত ১৯৫ জন পাক সেনা কর্মকর্তার সাথে পাকিস্তান বিমান বাহিনী ও নৌ বাহিনীর আরো ৬ জন কর্মকর্তার সন্ধান পেয়েছি। আরো সংগ্রহের কাজ চলছে।

শাজাহান খান বলেন, পাকিস্তানী সেনা সদস্যরা যারা যুদ্ধাপরাধ করেছে এর মধ্যে যুদ্ধাপরাধের মতো ঘৃণ্য, মানবেতর ঘটনাবলীর নীল নকসা প্রণয়ন ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দানের অভিযোগে অভিযুক্ত ৬৮ জন ।

তিনি বলেন, জেনেভা কনভেনশন সহ আন্তর্জাতিক সকল যুদ্ধনীতি লঙ্ঘন করে সরাসরি গণহত্যা, ধর্ষণ, লুট ও অগ্নি সংযোগে অংশ নেয় ১১৮, ব্যাপক হারে গণহত্যার অংশ নেয় ১৪ জন, এই ১৪ জনের মধ্যে পাকিস্তান বিমান বাহিনীর ৩জন এ নৌ বাহিনীর ৩ জন।

শাজাহান খান বলেন, এর মধ্যে আমাদের আন্দোলনের দাবিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পাকিস্তানী যুদ্ধাপরাধী সেনাদের বিচারের প্রাথমিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। অভিনন্দন জানাচ্ছি সেইসাথে ট্রাইব্যুনাল দ্বারা গঠিত তথ্য সংগ্রহ ও কমিটিকে আমাদের পক্ষ থেকে সাধ্য অনুযায়ী সহযোগিতা প্রদান করবো।

তিনি বলেন, বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে স্পিকারের কাছে পাকিস্তানী সেনা যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা ও স্মারকলিপি দেয়া হবে।

শাজাহান খান বলেন,এ ছাড়া আমাদের ঘোষিত দাবীগুলোর প্রেক্ষিতে সরকার আরো কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তার মধ্যে অন্যতম জামাত ইসলামকে নিষিদ্ধ করার পদক্ষেপ গ্রহণ, জামায়াত ইসলামকে সংগঠন হিসাবে বিচার করা এবং যুদ্ধাপরাধীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা, ও তাদের স্ব পরিবারে নাগরিকত্ব বাতিল করার জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ অ্যাক্ট ১৯৭৩ সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয়। একই সাথে আরেকটি দাবী হচ্ছে মুক্তি যুদ্ধ, গণহত্যা, নির্যাতন ওগণ আন্দোলনের অবমাননা, বা অস্বীকার করে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব ও শহীদের অপমান করে বক্তব্য প্রদানের বিরুদ্ধে পাশ্চাত্যের‘জেনোসাইড ডিনায়াল ল’ এর আদলে আইন প্রণয়ন করা।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আব্দুল মান্নান চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভাইস চেয়ারম্যান ইসমত কাদির গামা, মহাসচিব এমদাদ হোসেন, বিদ্যুৎ শ্রমিক লীগের আলাউদ্দিন মিয়া, শ্রমিক নেতা এ জেড কামরুল আনাম, চলচ্চিত্র পরিচালক কাজী হায়াত, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত