সিলেটটুডে ডেস্ক

২৮ জুলাই, ২০১৫ ১৩:০৯

অপেক্ষমান ছিল রায় : চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজাকার লতিফের মৃত্যু

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার আসামি বাগেরহাটের রাজাকার আবদুল লতিফ তালুকদার (৭৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ফলে আইন অনুযায়ি বিচার থেকে অব্যাহতি পেয়ে যাবে অভিযুক্ত লতিফ। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল থেকে মানবতাবিরোধী এ মামলার রায় 'যেকোন দিন' দেওয়ার কথা ছিল।

সোমবার রাত ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। মামলার কৌঁসুলি সায়েদুল হক বিষয়টি গণমাধ্যমে তার মৃত্যু নিশ্চিতের কথা জানান। 

২৩ জুলাই আবদুল লতিফ কাশিমপুর কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের মাধ্যমে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বাগেরহাটের রাজাকার কমান্ডার সিরাজ মাস্টার ও তার দুই সহযোগী খান আকরাম হোসেন ও আবদুল লতিফের বিরুদ্ধে রায় যে কোনও দিন দেওয়ার কথা ছিল প্রাইব্যুনালের। ওই তিনজনের বিরুদ্ধে হত্যা-গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন এবং শতাধিক বাড়ি-ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ রয়েছে।

গত বছরের ৫ নভেম্বর রাজাকার কমান্ডার ‘বাগেরহাটের কসাই’ বলে কুখ্যাত সিরাজুল হক ওরফে সিরাজ মাস্টার এবং তার দুই সহযোগী আব্দুল লতিফ ও খান আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মোট সাতটি মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

এর মধ্যে সিরাজ মাস্টারের বিরুদ্ধে পাঁচটি এবং আব্দুল লতিফ ও খান আকরামের বিরুদ্ধে ৩টি করে অভিযোগ আনা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাগেরহাটের শাঁখারিকাঠি বাজার, রণজিতপুর, ডাকরা ও কান্দাপাড়া গণহত্যাসহ ৮ শতাধিক মানুষকে হত্যা-গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন এবং শতাধিক বাড়ি-ঘরে লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ।

সিরাজ মাস্টার, লতিফ তালুকদার এবং তাদের আরেক সহযোগী খান আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে গত বছর ৫ নভেম্বর যুদ্ধাপরাধের সাত ঘটনায় অভিযোগ গঠন করে ট্রাইব্যুনাল-১। সাক্ষ্যগ্রহণ এবং দুই পক্ষের যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে আদালত গত ২৩ জুন মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি- কোর্ট এওয়েটিং ভারডিক্ট) রাখে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত