২৫ মে, ২০২৪ ০৩:২২
প্রতীকী ছবি
বাংলাদেশের ভ্রমণপ্রেমিদের প্রথম পছন্দ ভারত। প্রতিদিন হাজার হাজার লোক ভারতের ভিসার জন্য আবেদন করে থাকে। ভিসাও পাচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই। ভারতের ভিসার জন্য আবেদন করতে হয় অনলাইনে। এবং এরপর প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস-সহ পাসপোর্ট জমা দিতে হয় ভিসা সেন্টারে।
আসুন জেনে নিই কীভাবে অনলাইনে ভারতের ভিসার আবেদন করতে হয়।
আবেদন প্রক্রিয়া
অনলাইনে সাধারণত ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ই-ভিসা, ইন্ডিয়ান বিজনেস ই-ভিসা, ইন্ডিয়ান মেডিকেল ই-ভিসা এবং ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাটেন্ডেন্ট ই-ভিসার জন্য নিবন্ধন করতে হবে।
তবে ইন্ডিয়ার ভিসা আবেদন ফরম পূরণ করার আগে আপনার ই-ভিসা (ই-ভিসা ইন্ডিয়া অনলাইন) এর জন্য যোগ্যতার শর্তগুলো জানতে হবে। আপনি যদি এই শর্ত পূরণ করেন তবে আপনি ইন্ডিয়ান ই-ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করতে প্রবেশ করুন https://indianvisa-bangladesh.nic.in/visa/ এখানে। নির্ধারিত তথ্য পূরণ সাপেক্ষে আবেদন সম্পন্ন করতে হবে।
ভারতের ভিসার আবেদনে যা লাগবে
১. মূল পাসপোর্ট, ভিসার আবেদন দাখিল করার তারিখের আগ থেকে সর্বনিন্ম ৬ মাস মেয়াদ থাকতে হবে। পাসপোর্টে অন্তত দু’টি সাদা পাতা থাকতে হবে। পাসপোর্টের অনুলিপি (দ্বিতীয় পৃষ্ঠা এবং তৃতীয় পৃষ্ঠা এবং বৈধতার মেয়াদ বাড়ানোর এসডোর্সমেন্ট, যদি থাকে) সংযুক্ত করতে হবে।
২. কেবল নতুন পাসপোর্ট জমা দিলেই হবে না। আবেদনপত্রের সঙ্গে সব পুরোনো পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। যদি কারো পুরাতন কোন পাসপোর্ট হারিয়ে যায়, বা নষ্ট হয়, সেক্ষেত্রে থানায় সাধারণ ডায়েরির (জিডি) কপি সংযুক্ত করতে হবে।
৩. একটি সদ্য তোলা (৩ মাসের বেশি পুরোনো নয়) ২x২ (৩৫০x৩৫০ পিক্সেল) সাইজের রঙিন ছবি যেনো পুরো মুখমণ্ডল দেখা যায় এবং ছবির পিছনের অংশ সাদা হতে হবে।
৪. আবাসস্থলের প্রমাণপত্র: জাতীয় পরিচয়পত্র এবং বিদ্যুৎ, টেলিফোন, গ্যাস বা পানির বিলের অনুলিপি।
৫. পেশার প্রমাণপত্র : চাকরিদাতার কাছ থেকে সনদ। শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ডের অনুলিপি সংযুক্ত করতে হবে, অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তির অবসরপ্রাপ্ত কাগজপত্র, বিজনেস ব্যক্তির বাণিজ্য সনদপত্র লাগবে।
৬. আর্থিক সচ্ছলতার প্রমাণপত্র: আবেদনকারীদের জন প্রতি ১৫০ মার্কিন ডলার সমমানের বৈদেশিক মুদ্রার এনডোর্সমেন্ট বা আন্তর্জাতিক ক্রেডিট কার্ড অথবা সর্বশেষ ৩ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্টের অনুলিপি দিতে হবে।
৭. আবেদনকারীকে অনলাইন এপ্লিকেশন ফরম এ দেওয়া নির্ধারিত স্থানে ছবি স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে।
৮. সাক্ষাতের দিন আবেদনপত্রের সঙ্গে অবশ্যই সব পুরোনো পাসপোর্ট জমা দিতে হবে; সব পুরোনো পাসপোর্ট ছাড়া আবেদনপত্র অসম্পূর্ণ বলে বিবেচিত হবে।
৯. বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ক্ষেত্রে সব ধরনের ভারতীয় ভিসার সাক্ষাৎ ওয়াক-ইন পদ্ধতিতে গ্রহণ করা হয়।
অনলাইন নিবন্ধনের পর যা করবেন
অনলাইন নিবন্ধনের পর সাক্ষাতে ভিসার আবেদন দাখিল করতে হবে। চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, খুলনা বিভাগ ব্যতীত অন্যান্য বিভাগের বসবাসকারীরা আইভ্যাক, ঢাকা (যমুনা ফিউচার পার্ক) এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে।
অন্যরা আইভ্যাক, খুলনা আইভ্যাক, ময়মনসিংহ আইভ্যাক, যশোর আইভ্যাক, বরিশাল আইভ্যাক, সিলেট আইভ্যাক এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে।
যেসব পাসপোর্টধারী চট্টগ্রাম বিভাগের বাসিন্দা, যেমন- কুমিল্লা, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া তারা চট্টগ্রাম আইভ্যাক- এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে।
যারা রাজশাহী বিভাগে বাস করছে, তারা রাজশাহী আইভ্যাক, রংপুর আইভ্যাক এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে। যারা সিলেট বিভাগে বাস করছে, তারা সিলেট আইভ্যাক এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারে।.
ভিসা ফি
বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীদের ভারতীয় ভিসার জন্য আবেদন করতে কোন ভিসা ফি লাগবে না। তবে ভিসা প্রসেসিং ফি (ভিপিএফ) হিসেবে ৮০০ টাকা প্রদান করতে হবে। সঙ্গে যুক্ত হবে ২৪ টাকা ভ্যাট; অর্থাৎ ৮২৪ টাকা।
ভিসা প্রসেস ফি প্রদান করবেন যেভাবে
ভিসা প্রসেস ফি প্রদান করতে প্রবেশ করুন https://payment.ivacbd.com এই লিংকে। এখানে প্রবেশ করে আপনার আবেদনের জন্য নির্বাচিত হাইকমিশন নির্বাচন করুন। ওয়েব ফাইল নাম্বার দিন (২বার)। এরপর আবেদনের জন্য নির্ধারিত আইভ্যাক নির্বাচন করুন। আপনার ভিসা আবেদনের টাইপ নির্বাচন করুন। আপনার ব্যক্তিগত তথ্য দিন (যেমন নাম, নাম্বার, ইমেইল আইডি)।
সব তথ্য পূরণ শেষে অনলাইনেই পেমেন্ট করা যাবে। পেমেন্ট করা যাবে ডেবিট, ক্রেডিট, ভিসা, মাস্টার্স কার্ড, আমেরিকান এক্সপ্রেসম ডিবিএল নেক্সাস, কিউ ক্যাশ, ফাস্ট ক্যাশ, সিটি টাচ, ব্যাংক এশিয়া, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল ব্যাংকিং, এসএমএস ব্যাংকিং, রকেট, বিকাশ, মাইক্যাশ, এমক্যাশ ও এবি থেকে টাকা প্রদান করা হবে।
জরুরি ভিত্তিতে ভিসার দরকার; কী করবেন?
প্রকৃত জরুরি কারণে (যেমন জরুরি চিকিৎসা, কনফারেন্স/সেমিনারে অংশগ্রহণ, একাডেমিক ডেডলাইন এবং মৃত্যু/বিয়ে-সম্পর্কিত পারিবারিক বাধ্যবাধকতা) নন-ট্যুরিস্ট ভিসার ক্ষেত্রে ভিসার আবেদন জমা দেওয়ার জন্য দ্রুত অ্যাপয়েন্টমেন্টের প্রয়োজন হলে, পেমেন্ট প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে এবং প্রথমে একটি অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।
এরপর, আপনার অনুরোধ এবং সেই বিষয়ক নথিপত্রসমূহ সংশ্লিষ্ট মিশন/পোস্টে (ই-মেইল অ্যাড্রেসসমূহ নিচে রয়েছে) একটি ই-মেইলে পাঠান।
এক্ষেত্রে মনে রাখা উচিত, ভিসা অ্যাপয়েন্টমেন্টের জন্য করা অনুরোধসমূহ সম্পূর্ণরূপে যোগ্যতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয় এবং যাচাইকরণের সাপেক্ষে সেটা করা হয়ে থাকে। অনুরোধ পাঠানো এই নিশ্চয়তা দেয় না যে, অনুরোধটি গ্রাহ্য হবে।
এইচসিআই ঢাকা-এর অধীনস্থ আইভ্যাকসমূহের জন্য (ঢাকা, সাতক্ষীরা, বরিশাল ও যশোর) – [email protected]
এএইচসিআই চট্টগ্রাম-এর অধীনস্থ আইভ্যাকসমূহের জন্য (চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া) – [email protected]
এএইচসিআই রাজশাহী-এর অধীনস্থ আইভ্যাকসমূহের জন্য (রাজশাহী, বগুড়া, ঠাকুরগাঁও, রংপুর ও কুষ্টিয়া) – [email protected]
এএইচসিআই খুলনা-এর অধীনস্থ আইভ্যাকসমূহের জন্য (খুলনা) – [email protected]
এএইচসিআই সিলেট-এর অধীনস্থ আইভ্যাকসমূহের জন্য (সিলেট ও ময়মনসিংহ) – [email protected]
আপনার মন্তব্য