সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ এপ্রিল, ২০১৮ ০১:৩৩

ক্যান্সার, হৃদরোগ ও ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় রসুন

সুপ্রাচীনকাল থেকেই ঔষধি হিসেবে বেশ সমাদৃত রসুন। উপমহাদেশের ভেষজ ও আয়ুর্বেদিক চিকিত্সকরা নানাভাবে প্রতিদিন নিয়মিত রসুন খাওয়ার অসংখ্য উপকারিতার কথা বলেছেন। মসলাপণ্যটির উপকারিতার কথা স্বীকার করে নিয়েছে আধুনিক চিকিৎসাবিদ্যাও।

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে, নিয়মিত রসুন খেলে তা একই সঙ্গে ক্যান্সার, হৃদরোগ ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের মারাত্মক তিন ব্যাধিকে দূরে রাখতে সহায়তা করে। খবর ডেইলি মেইল।

যুক্তরাজ্যের নটিংহাম ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞরা এ গবেষণা চালান। গবেষণায় উঠে আসা ফল প্রকাশ হয়েছে ট্রেন্ডস ইন ফার্মাকোলজিক্যাল সায়েন্সেস জার্নালে। তবে রসুন গ্রহণের ক্ষেত্রে কার্যকারিতার মাত্রা কতটা হবে, তা গ্রহণের পদ্ধতির ওপর বিশেষভাবে নির্ভরশীল বলে উল্লেখ করেছেন গবেষকরা।

গবেষণার জন্য বিশেষজ্ঞরা রসুন নিয়ে আগেকার কিছু গবেষণা পর্যবেক্ষণ করে দেখেন। তবে মসলাপণ্যটির স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে উঠে আসা তথ্যে এসব গবেষণায় বেশ অসঙ্গতি দেখতে পেয়েছেন নটিংহাম ইউনিভার্সিটির গবেষকরা। এর কারণ সম্পর্কে গবেষক দলের প্রধান ড. পিটার রোজ জানান, ব্যবহারের পদ্ধতিভেদে রসুনের উপাদানে বেশ তারতম্য দেখা দেয়। এটি কেটে খাওয়া হোক বা তেল বানিয়ে খাওয়া হোক অথবা গেঁজিয়ে অ্যালকোহলে পরিণত করা হোক— সব ক্ষেত্রেই রসুনের উপাদান বিশেষত সালফিউরিক উপাদানগুলোর মাত্রায় বেশ তারতম্য দেখা দেয়। তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি উপকার কোন পদ্ধতিতে পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে ড. রোজ ও তার সহকর্মীরা এখনো বেশ ধাঁধায় আছেন।

ড. রোজ বলেন, ‘স্তন্যপায়ী প্রাণীর ওপর গ্রহণের পদ্ধতিভেদে রসুন ও রসুনজাত পণ্যের প্রভাবে ভিন্নতা দেখা গেছে। মূলত এ কারণেই রসুন নিয়ে গবেষণার বিষয়টি বেশ জটিল। মানবদেহে এর প্রভাব ফেলার প্রক্রিয়াগুলো আমরা এখনো পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারিনি।’

গবেষণায় পরীক্ষণ ও পর্যবেক্ষণ— উভয় পদ্ধতিতেই দেখা গেছে, রক্তচাপের মাত্রা কমিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখে রসুন। এছাড়া ক্যান্সার প্রতিরোধী অনেক উপাদান এর মধ্যে বিপুল পরিমাণে বিদ্যমান। বিশেষ করে অ্যালিসালফায়েড জাতীয় উপাদানগুলো ক্যান্সারের প্রতিষেধক হিসেবে এখন পর্যন্ত যথেষ্ট কার্যকর বলে প্রমাণিত। এছাড়া স্তন্যপায়ী যেসব প্রাণী ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে, তাদের সবারই রক্তে চিনির মাত্রা কমিয়ে আনায় কার্যকর উপাদানগুলোও রসুনের মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণে বিদ্যমান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত