সিলেটটুডে ডেস্ক

০৪ জুন, ২০১৯ ১৫:২২

ঈদভ্রমণে শিশুদের জন্য বিশেষ সতর্কতা

ঈদের সময় শিশুকে নিয়ে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। তা না হলে সন্তান অসুস্থ হলে ঈদ আনন্দ মাটি হয়ে যাবে। দীর্ঘ পথ ভ্রমণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত গরমে সদ্যোজাত শিশু অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে, বেশি মানুষের সংস্পর্শে সংক্রমণ হতে পারে, তাই নবজাতক শিশুকে নিয়ে ভ্রমণ করার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের আগে জন্মানো শিশু কিংবা কম ওজন নিয়ে জন্মানো সদ্যোজাত শিশুকে নিয়ে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আবু সাঈদ।

একটু বড় শিশুদের ক্ষেত্রে ভ্রমণ করার সময় খেয়াল রাখবেন, সড়কপথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে তারা যেন সামনের আসনে কিংবা জানালার পাশে না বসে। জানালা দিয়ে মাথা বাইরে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখবেন। তা ছাড়া সামনে বসলে বাতাসের ঝাপটায় বাচ্চার সর্দি, টনসিল বা কানের সংক্রমণ হতে পারে। লঞ্চে গেলে ডেকে বা ছাদে শিশুরা যেন একা চলে না যায়। গাড়িতে অনেক শিশু খুব বমি করে ও অসুস্থ হয়ে পড়ে। রওনা হওয়ার ঘণ্টাখানেকের মধ্যে শিশুকে কিছু খাওয়াবেন না। ডাক্তারের পরামর্শে যাত্রার আধঘণ্টা আগে বমির ওষুধ খেলে এই সমস্যা অনেকটা দূর হবে।

ভ্রমণে শিশুদের বাইরের কোনো খাবার খাওয়াবেন না, বাড়ি থেকেই খাবার তৈরি করে নিয়ে যান। সঙ্গে রাখুন যথেষ্ট ফোটানো পানি। বুকের দুধ খাওয়ানোর সুযোগ না থাকলে বাসা থেকে দুধ বের করে পাত্রে ভরে নিয়ে যান। এই দুধ ছয় থেকে আট ঘণ্টা পর্যন্ত ভালো থাকবে।

ঈদের ভ্রমণে সময়সূচি ঠিক থাকে না, তাই শুকনো খাবার সঙ্গে নেওয়া ভালো। এই গরমে একদম নতুন কাপড়ে বাচ্চার অস্বস্তি হতে পারে, তাই পুরোনো নরম হালকা সুতি কাপড় পরান। ক্যাপ, সানগ্লাস, ছাতা ব্যবহার করতে পারেন। বাচ্চারা ঘন ঘন প্রস্রাব করে, তাই কোমল পানীয়, কফি, চা ইত্যাদি পরিহার করুন। খুব ছোট শিশুদের অবশ্য ডায়াপার পরাতে পারেন। ডায়াপারে র‌্যাশ এড়াতে তা পরানোর আগে ভ্যাসলিন বা যেকোনো জিঙ্ক ক্রিম লাগাতে পারেন।

আজকাল আকাশপথেও অনেকে ভ্রমণ করেন। বিমানে অতিরিক্ত শব্দে এবং বায়ুর চাপের তারতম্যের কারণে অনেক শিশুর কানে সমস্যা হয়। এ ক্ষেত্রে শিশুর কানে এয়ার প্লাগ লাগিয়ে রাখা ভালো। আজকাল অনেকে ঈদের সময় দেশের বাইরে ভ্রমণে যান। এ ক্ষেত্রে যে দেশে যাচ্ছেন, সে দেশের রোগের প্রকোপ অনুযায়ী টিকা নিতে হবে। বাচ্চা টিকা দিয়ে থাকলে সেই কার্ড নিতে ভুলবেন না।

ঈদভ্রমণে যাত্রাপথে সন্তানের সাধারণ অসুস্থতায় ডাক্তারের পরামর্শে জ্বর, কাশি, সর্দির ওষুধ ও ডায়রিয়ার স্যালাইন এবং প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য গজ, ব্যান্ডেজ ও অ্যান্টিসেপটিক ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন। পরিচিত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগের ফোন নম্বরটিও রাখা উচিত। এ ছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়নের ১৬২৬৩ নম্বরেও ২৪ ঘণ্টা ফোন করতে পারেন।

তথ্য সূত্র : প্রথম আলো।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত