সিলেটটুডে ডেস্ক

২৩ আগস্ট, ২০২০ ১৪:০৫

বেঈমান-মুনাফেক ছাড়া অগণিত জনগণ জাতির পিতার জন্য কাঁদে: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ওই কয়েকটা খুনি, বেঈমান বা মুনাফেক ছাড়া অগণিত জনগণ জাতির পিতার জন্য কাঁদে। তারা ২১ বছর চেষ্টা করেছে কিন্তু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছতে পারেনি। আজকে শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বব্যাপী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম উজ্জ্বল।

রোববার (২৩ আগস্ট) সকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বঙ্গবন্ধুকন্যা এ কথা বলেন।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসবভবন গণভবন থেকে সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন।

সভার শুরুতে জাতীয় শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা শোকাবহ যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবু নাসের চৌধুরী। এরপর বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র আমির হোসেন আমু। আর কবি মহাদেব সাহার কবিতা আবৃত্তি করেন আসাদুজ্জামান নূর এমপি।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পৃথিবীর এই অবস্থার মধ্যেও দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাচ্ছি; একটা কথা শুধু মাথায় রেখে- এই জাতির জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সারাটা জীবন উৎসর্গ করেছেন আর আমার মা সবসময় তার পাশে থেকেছেন। তিনি যে আদর্শ নিয়ে দেশটাকে স্বাধীন করেছিলেন, আমাদের একটাই লক্ষ্য, তার সেই আদর্শ বাস্তবায়ন করা।’

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। কারণ তারা বারবার আমার ওপর আস্থা রেখেছে। আমাদের ভোট দিয়েছে, তাদের সেবা করার সুযোগ দিয়েছে। বাংলাদেশে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষকী উদযাপনে আমাদের অনেক কর্মসূচি ছিল, কিন্তু আমরা তা বাস্তবায়ন করতে পারিনি। আমরা কিছু ডিজিটাল পদ্ধতিতে করেছি। কিন্তু আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, এই জন্মশতবার্ষিকীতে আমাদের লক্ষ্য, বাংলাদেশে একটি মানুষ গৃহহারা থাকবে না। প্রতিটি মানুষকে আমরা একটা মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেবো।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ যেন কেউ খাদ্যে কষ্টে না পায়। চিকিৎসা সেবা যেন পায়, তাদের জীবনটা যেন অর্থবহ হয়। সেই প্রচেষ্টাই আমরা চালাব। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। সেই সঙ্গে পরিবেশ রক্ষায়। জাতির পিতা সবসময় এ ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন ছিলেন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে সারাদেশে বৃক্ষরোপণ করে সবুজ শ্যামল বাংলাদেশকে আরও সবুজ, আরও শ্যামল করে গড়ে তোলা এবং দেশকে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করাই আমাদের লক্ষ্য।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি যে কাজটা করতে চেয়েছিলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে তার যে স্বপ্ন ছিল, সেটা যেন আমরা পূরণ করে এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারি। ওই কয়েকটা খুনি, বেঈমান বা মুনাফেক ছাড়া অগণিত জনগণ জাতির পিতার জন্য কাঁদে। তারা জাতির পিতার নাম মুছে ফেলার জন্য ২১ বছর চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেই নাম মুছতে পারেনি। আজকে শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বব্যাপী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম উজ্জ্বল।’

করোনার মত মহামারির মধ্যেও এই অনুষ্ঠান আয়োজন করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত