০৪ অক্টোবর, ২০২০ ১৯:১৭
অ্যানুয়াল রবার্ট রাসেল কারেজ ইন কার্টুনিং অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন বাংলাদেশের কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর। পাঁচ মাস আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার হন তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা কার্টুনিস্ট রাইটস নেটওয়ার্ক ইন্টারন্যাশনাল (সিআরএনআই) তাদের ওয়েবসাইটে জানায়, পাঁচ মাস আগে গ্রেপ্তার হওয়া কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরকে করোনাভাইরাস মহামারির ঝুঁকির মধ্যেও আটকে রাখা হয়েছে।
ওয়েবসাইটে বলা হয়, ‘আহমেদ এক দশকেরও বেশি সময় ধরে সিআরএনআইয়ের কাছে এক পরিচিত কার্টুনিস্ট ও অ্যাক্টিভিস্ট। তিনি অত্যন্ত সাহসিকতার সঙ্গে ২০১০ সালে নিখোঁজ হওয়া শ্রীলঙ্কান কার্টুনিস্ট প্রজেথ একনালিগোদা ও ২০০৭ সালে কারাবন্দি বাংলাদেশি কার্টুনিস্ট আরিফুর রহমানের পক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। দেশটিতে তিনি একজন সিআরএনআই’র “অধিভুক্ত নেতা” হিসেবে চিহ্নিত হন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে অযৌক্তিকভাবে “বিদেশি স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে কাজ করছে” বলে অভিযোগ তোলা হয়।’
সিআরএনআই জানায়, ‘কার্টুনিস্ট কিশোর তার “আমি কিশোর” ফেসবুক অ্যাকাউন্টে “লাইফ ইন দ্য টাইম অব করোনা” শিরোনামে দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে সরকারের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন সমালোচনামূলক কার্টুন-পোস্টার পোস্ট করেছিলেন। গ্রেপ্তারের পর কিশোরের তিন বার (১৭ মে, ১৬ জুন ও ২৩ শে জুলাই) জামিন শুনানি করতে অপরাগতা জানান দেশটির ভার্চুয়াল আদালত।’
ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ‘এএসকে, কার্টুনিং ফর পিস, ফোরাম ফর ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন, বাংলাদেশ (এফএক্সবি) ও রিপোর্টার্স উইথ বর্ডারস এর পাশাপাশি সিআরএনআইও কার্টুনিস্ট কিশোরের মুক্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানায়। আমাদের অনুরোধ উপেক্ষা করা হয়।’
মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকার একজন কার্টুনিস্টের দুর্দশার বিষয়টিকে স্বীকৃতি দিতে বাংলাদেশের আহমেদ কবির কিশোরকে রবার্ট রাসেল কারেজ ইন কার্টুনিং অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে বলে ওয়েবসাইটে জানিয়েছে সিআরএনআই।
কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের বড় ভাই আহসান কবির বলেন, ‘কিশোরের এই অর্জনে আমরা অবশ্যই আনন্দিত। তবে, আনন্দটা সীমাহীন হতো যদি কিশোর আজ কারাগারে না থাকত। আমরা চাই দ্রুত কিশোরের জামিন হোক।’
‘কিশোর হচ্ছে সেই মানুষ যার কার্টুন দিয়ে প্রথম বাংলাদেশে মৌলবাদ ও জামাত-শিবির বিরোধী কার্টুন প্রদর্শনী হয়েছিল এবং কিশোরই সেটার আয়োজন করেছিল’, যোগ করেন আহসান কবির।
আপনার মন্তব্য