সিলেটটুডে ডেস্ক

০৮ অক্টোবর, ২০২০ ২১:৪৪

পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ: কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান) আয়োজিত ‘কোভিড পরবর্তী বাংলাদেশে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা: চ্যালেঞ্জ ও সমাধান’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা জানান।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় সরকারের সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে দেশের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। দেশে খাদ্য নিরাপত্তা সবসময়ই একটা চ্যালেঞ্জ ছিল।

তিনি বলেন, ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় দেশে প্রায়ই খাদ্যাভাব দেখা দিত, দুর্ভিক্ষ হতো। খাদ্য নিরাপত্তাকে সব সময়ই মনে করা হতো অধরা হরিণের মতো যা অর্জন করা সম্ভব নয়। কিন্তু বিগত ১০ বছরে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে।

'করোনা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের মাঝেও এ অর্থবছরে খাদ্যশস্যের (চাল, গম ও ভুট্টা) উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় চার কোটি ৫৩ লাখ টনে উন্নীত হয়েছে। এই দুর্যোগেও বিশ্বে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।'

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমান সরকার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সকলের জন্য পুষ্টিসম্মত ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকল্পে বিশেষভাবে সচেষ্ট আছে। এ লক্ষ্য অর্জনে পুষ্টির উৎস শাকসবজি ও ফলমূলের উৎপাদন বাড়াতে সরকার কৃষিখাতে বায়োটেকনোলজি, কৃষি যান্ত্রিকীকরণ, প্রতি ইউনিয়নে কালিকাপুর মডেল অনুসরণ করে সবজি পুষ্টি বাগান ইত্যাদি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। পাশাপাশি, দেশীয় ও আধুনিক জীবপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মাছ, মাংস, দুধ, ডিমের মতো প্রাণিজ আমিষ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ চলমান আছে।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, পুষ্টির অন্যতম সহজলভ্য উৎস হলো ব্রয়লার মুরগি। কিন্তু দুঃখজনক হলো দেশের মানুষ অনিরাপদ মনে করে এটি কম খেতে চায়। সেজন্য, গবেষণা ও পরীক্ষা করে মানুষকে যদি ব্রয়লার মুরগির মাংস সম্পূর্ণ নিরাপদ এ বার্তা দেয়া যায় এবং এর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো যায় তবে মানুষ কম খরচে নিরাপদ ও পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার পাবে। বিশেষ করে সীমিত আয়ের মানুষেরা তাদের প্রাণিজ পুষ্টির অনেকটাই পূরণ করতে পারবে।

এছাড়া পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে সকলের সচেতনতা এবং মানুষের আয় বা কর্মসংস্থানও বৃদ্ধিও জরুরি বলে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক মো. সাইদুল আরেফিন। বারটানের নির্বাহী পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান খানের সভাপতিত্বে সেমিনারে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক মো. হামিদুর রহমান, আইসিডিডিআর’বির সিনিয়র পরিচালক তাহমিদ আহমেদ, ফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন, বারটানের পরিচালক কাজী আবুল কালাম প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত