সিলেটটুডে ডেস্ক

২১ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:১৪

সীমান্তবাসীর সচ্ছলতাই কমাতে পারে সীমান্ত হত্যা: বিজিবি মহাপরিচালক

সীমান্তের জনগণকে সচেতন ও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে পারলে সীমান্ত হত্যা কমবে বলে মনে করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম।

রোববার (২০ ডিসেম্বর) সকালে বিজিবি দিবস উপলক্ষে ঢাকার পিলখানায় স্মৃতিস্তম্ভ 'সীমান্ত গৌরবে' পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার জন্য বিজিবি সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছে।

১৭ ডিসেম্বর ভারত-বাংলাদেশ শীর্ষ বৈঠকে এবং দুই দেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক পর্যায়ের আলোচনাতেও বিষয়টি এসেছে বলে তিনি জানান।

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘এখন কূটনৈতিকভাবে এবং আমরা আমাদের দিক থেকে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। যাতে সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসতে পারি। সেজন্য সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের সচেতন করার চেষ্টা করছি। যেন তারা অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম না করেন।’

সীমান্তের জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমেও জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, সীমান্তবর্তী জনগণকে শিক্ষা দীক্ষায় এবং অর্থনৈতিকভাবে যদি স্বাবলম্বী করতে পারি; তাহলেই সীমান্ত হত্যা কমে যাবে।’

সামনের দিনগুলোতে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষা বাহিনীর সামনে কী চ্যালেঞ্জ রয়েছে- এমন প্রশ্নে বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, ‘পৃথিবী টেকনোলজির দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। সে সঙ্গে বাংলাদেশও প্রযুক্তিগত দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতি হয়েছে। সেটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিজিবিকে সময়োপযোগী করাটা জরুরি।’

পাহাড়ি এলাকায় এখন কিছু সীমান্ত অরক্ষিত রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এক বর্ডার অবজারভেশন পোস্ট (বিওপি) থেকে আরক বিওপির দূরত্ব ৮ থেকে ১০ কিলোমিটারের মত। সেখানে নতুন বিওপি স্থাপন করে এই দূরত্ব কমাতে হবে। গ্যাপ কমিয়ে আনা একটা চ্যালেঞ্জ, পাশাপাশি প্রযুক্তিগতভাবে আমাদেরকে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে হবে।’

আর সেজন্য নতুন নিয়োগ, সবার প্রশিক্ষণ ও অনুশীলনের ওপর জোর দেন বিজিবি মহাপরিচালক।

প্রসঙ্গত, মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের ১১ মাসে বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তে সহিংসতায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৪২ বাংলাদেশির। গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০১৮ সালে সীমান্ত হত্যা কিছুটা কমলেও সেটি তিন গুণ বাড়ে ২০১৯ সালে। সংস্থাটির আরেক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে সীমান্তে ১৫৮ জন বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত