সিলেটটুডে ওয়েব ডেস্ক

৩১ অক্টোবর, ২০১৫ ২২:০৪

তাঁরা আর বিচারও চান না

শনিবার (৩১ অক্টোবর) দুর্বৃত্তদের হামলায় নিহত জাগৃতি প্রকাশনীর কর্ণধার আরেফিন ফয়সাল দীপনের বাবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক বলেছেন, "আমি ছেলে হত্যার বিচার চাই না। এদেশের কোর্ট-কাচারিতে বিচার হয় না। তাই বিচার চেয়ে লাভ নেই। আমি কোর্ট কাচারিতেও যেতে চাই না। তবে এটুকু বলতে পারি, নিয়াম অনুযায়ী আমি হয়তো ছেলে হত্যার একটি মামলা করব।"

দীপনের বাবার সাথে সুর মিলিয়েছেন উগ্রবাদীদের হামলায় নিহত বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়ের স্ত্রী বন্যা আহমেদও, তিনি বলেছেন - 


"দীপনের বাবার মত আমিও বিচার চাইনা। এই সরকারের কাছ থেকেও কিছু চাইনা। এদেশে আদালতে বিচার হয়না সেটা আমরা জেনে গেছি।দুইচারজন ভাড়াটে খুনিদের ধরে প্রেস রিলিজ করে বা বিচার করে কোন লাভ নেই, এইসব ছোটছোট খুনী ক্যাডারদের ধরলেও যা, না ধরলেও তা। এর শিকড় অনেক গভীরে। যারা মরেছে তারাতো মরেছেই, তাদেরকে তো আর পাবোনা, কোনদিনো না, ওরা আসবেনা, মাথা কুটে মরলেও আসবেনা। কিন্তু যারা বেঁচে আছেন, এখনো সুস্থভাবে বাঁচার আশা করেন, তারা রুখে না দাঁড়ালে কিছুই বদলাবেনা। সংখ্যায় ওরা ক্রমাগত বাড়ছে, আমাদের সম্মিলিত ব্যর্থতাই ওদের বাড়তে দিচ্ছে। মৌলবাদ বলুন, সাম্রাজ্যবাদ বলুন, শুধু কথায় আর কিছু হবেনা, এদের রুখতে হলে ভিতর থেকে সব কিছু ভেঙ্গেচুরে বদলাতে হবে, সবকিছু নষ্টদের অধিকারে চলে যাওয়ার আগেই সেটা করতে হবে।"

 

অভিজিৎ রায়ের বিজ্ঞান বিষয়ক দুটি বইয়ের প্রকাশক ছিলেন দীপন। একই সাথে নিজেও লেখালেখি করতেন। 'অন্ধকার' নিক নিয়ে বেশ কয়েকটি ব্লগে নিয়মিত লিখতেন তিনি।

শনিবার সন্ধ্যায় শাহবাগের আজিজ মার্কেটের তৃতীয় তলায় নিজ প্রকাশনীর কার্যালয় থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়। হাসপাতালে নেয়া হলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ধারণা করা হচ্ছে আজ বিকেলের কোন এক সময় তাকে কুপিয়ে হত্যা করে ফেলে রাখা হয়।

এদিকে অভিজিতের বইয়ের অপর প্রকাশক শুদ্ধস্বরের আহমেদুর রশিদ টুটুল আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁর অবস্থা কিছুটা উন্নতির দিকে।

এই ঘটনায় আহত কবি তারেক রহিমের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক। আর লেখক রণদীপম বসু পুরোপুরি আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

 

আপনার মন্তব্য

আলোচিত