সিলেটটুডে ডেস্ক

২৪ ডিসেম্বর, ২০২০ ২৩:২৯

জানুয়ারির শেষ দিকে দেশে আসবে করোনার টিকা : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ভারত থেকে করোনাভাইরাসের টিকা আনার সব প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘আমরা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার তিন কোটি ডোজ ভ্যাকসিন আনছি। জানুয়ারির শেষের দিকে আসবে। ভ্যাকসিন আনার পুরো প্রক্রিয়া শেষ।’

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিএমএ মিলনায়তনে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ-স্বাচিপের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে উপরোক্ত কথা বলেন জাহিদ মালেক।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরুর দিকে রোগটির চিকিৎসা পদ্ধতি জানা ছিলো না। এ কারণে শুরুতে কিছুটা ঘাটতি থাকলেও এখন পরিস্থিতি ভিন্ন।

সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের তুলনায় ‘অনেক ভালো’ আছে দাবি করে তিনি বলেন, “পুরো ইউরোপ লকডাউনে গেছে। কিন্তু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ এই মহামারী নিয়ন্ত্রণে রেখেছে।

“আমাদের চিকিৎসকরা অব্যাহতভাবে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। ৮০ শতাংশ রোগী বাসায় থেকে টেলিমেডিসিন সেবা নিয়ে ভালো হয়েছেন। ২ হাজার ডাক্তার ও ১৫০০ নার্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছে স্বল্প সময়ে।”

মহামারীতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের যেসব চিকিৎসক মারা গেছেন এবং যারা আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ দ্রুত দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে বলে চিকিৎসকদের আশ্বস্ত করেন মন্ত্রী।

‘বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে,’ বলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, দেশের মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ, অর্থাৎ ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৪৭ হাজার ৫০৮ জন মানুষকে নতুন করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করেছে সরকার।

প্রথম দফায় টিকা আনা হচ্ছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রাজেনকা কোম্পানি এই টিকা তৈরি করছে, যা ভারতের প্রতিষ্ঠানটিতেও উৎপাদন হচ্ছে।

বেক্সিমকোর মাধ্যমে এই টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। মহামারী মোকাবেলায় যারা সামনে থেকে কাজ করছেন, শুরুতে তাদের বিনামূল্যে এই টিকা দেওয়া হবে বলে ইতোমধ্যে জানানো হয়েছে।

এছাড়া গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস-গ্যাভি বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশের জন্য ৬ কোটি ৮০ লাখ ডোজ টিকা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে।

আরও উৎস থেকে টিকা পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথাও সরকারের তরফে বলা হচ্ছে।

করোনাভাইরাস মহামারীর বছর গড়ালেও শীতে সংক্রমণ বাড়ায় তুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তবে সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলার প্রস্তুতির কথাও বলছে সরকার।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত