সিলেটটুডে ডেস্ক

২৫ ডিসেম্বর, ২০২০ ০০:০৫

মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাঝে অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে : জনপ্রশাসন সচিব

প্রশাসনের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মাঝে অপরাধ প্রবণতা বেড়েছে বলে মন্তব্য করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বলেছেন, ‘প্রতিদিন আমাকে কয়েকটি বিভাগীয় মামলা শুনতে হচ্ছে। এসব মামলায় অনেকের শাস্তিও হচ্ছে। আবার অনেকে মাঠ পর্যায়ের অপরাধ থেকে নিজেকে বাঁচাতে ঢাকায় থাকার তদবিরও করছেন, যা খুবই পীড়াদায়ক।’

বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে ২০২০ সালের সামগ্রিক কর্মদক্ষতা বিবেচনায় জেলা পর্যায়ের ‘শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা স্বীকৃতি প্রদান’ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

জনপ্রশাসন সচিব হারুন বলেন, ‘আমি হঠাৎ দেখলাম যে, পেকুয়ার ইউএনও তার ওইখানকার একটা ঘটনা নিয়ে একাত্তর টেলিভিশনে কথা বললেন। অথচ ওই ঘটনার সঙ্গে ইউএনও’র কোনও বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নাই। ওই বিষয়ে যখন তাকে প্রশ্ন করা হয়, তিনি জবাব দিতে পারলেন না। এই অনুষ্ঠান দেখে আমি লজ্জিত হয়েছি। আমার একজন ইউএনও একাত্তরের মতো টেলিভিশনে গেলো, কিন্তু প্রশ্নের জবাব দিতে পারলেন না।’

তিনি বলেন, ‘বদলি হওয়ার জন্য এবং ঠেকানোর জন্য যখন তদবির করা হয়, তখন বিব্রত হই। একজনের কাছে জানতে চাইলাম, ঢাকায় কেন বদলি হতে চান। তখন তিনি জানালেন, ‘আমি তো ওই ব্যাচের সভাপতি। আমার ব্যাচের অনেক কাজকর্ম করতে হয়। এজন্য তার ঢাকা আসা প্রয়োজন।’ আরেকজন কর্মকর্তা ফেসবুকে পোস্ট দেন— ‘অমুক ব্যাচের কর্মকর্তা তো এতদিন এসিল্যান্ড ছিলেন। আমরা কেন এক বছর পর এসিল্যান্ড থেকে প্রত্যাহার হবো।’ কারণ, তার খাওয়াটি কম হয়েছে। এক বছরে খাওয়া হয়নি। আরও যদি দুই বছর খেতে পারতেন তাহলে উনার পেটটি ভরতো।’

কোনও কাজ করার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি বা পোস্ট দেওয়া নিয়েও সহকর্মীদের কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেন জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন। তিনি বলেন, ‘ভূমি অফিস পরিদর্শন করলাম, এটি ফেসবুকে দেওয়ার কী হলো। এমন একটি ভাব ইউনিয়ন ভূমি অফিস কেবল তিনি পরিদর্শন করেছেন। তার আগে কোনও কর্মকর্তা জীবনে কোনোদিন এটা পরিদর্শন করেননি।’

পরে ২০২০ সালের সামগ্রিক কর্মদক্ষতা বিবেচনায় জেলা পর্যায়ে ঢাকা বিভাগের ১৪ এসিল্যান্ড (সহকারী কমিশনার) ও ১৩ জন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) শ্রেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত