সিলেটটুডে ডেস্ক

২৮ ডিসেম্বর, ২০২০ ২১:০৩

আমরাও ইচ্ছা করলে টিকা তৈরি করতে পারি: ডা. জাফরুল্লাহ

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম শ্রেণির ওষুধ উৎপাদনকারী দেশ হতে পারত। দেশীয় গ্লোবের করোনার টিকা এগিয়ে রয়েছে। আমরাও ইচ্ছা করলে টিকা তৈরি করতে পারি। তাহলে পর্যাপ্ত টিকা তৈরি হত। দেশের প্রতিটা লোক টিকা পেত।

সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে শীতকালে করোনা প্রতিরোধ ও করণীয় এবং শীতবস্ত্র বিতরণে বিত্তবানদের এগিয়ে আসার আহ্বান শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

গণস্বাস্থ্যের গণমাধ্যম উপদেস্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর সঞ্চলনায় এসময় আরও বক্তব্য রাখেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. মঞ্জুর কাদির আহমেদ, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ূয়া।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমরা বিশ্বে প্রথম অ্যান্টিবডি কিট আবিষ্কার করেছিলাম। আজকে শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে জড়িয়ে ধরে বলতেন, জাফরুল্লাহ জব্বর কাজ করেছো। কিন্তু সরকার আমাদের প্রতিটা পদে পদে কাঁটা বিছিয়েছে। সরকার আমাদের কন্ডিশন দিয়েছে- এ কিট আমেরিকা থেকে পরীক্ষা করিয়ে আনতে হবে। এতে আরও তিন কোটি টাকার প্রয়োজন হবে। আজকে যদি এমন নিয়ম থাকত, তাহলে বাংলাদেশে ঔষধ নীতি হত না।

করোনা টিকা উৎপাদনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার যদি ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে এ কাজে সম্পৃক্ত করতো। আবশ্যকীয় লাইসেন্স বলে একটা নিয়ম আছে। এর সুযোগ নিয়ে আমরা ব্যাপক আকারে টিকা তৈরি করতে পারতাম। অক্সফোর্ডে পেনিসিলিন আবিষ্কৃত হয়েছিল। কিন্তু তারা কখনোই এটাকে প্যাটেন্ট করেনি। তারা মনে করেছিল জনসাধারণের জন্য পেনিসিলিন উম্মুক্ত থাকবে। পেনিসিলিন যে পাত্রে আবিষ্কার করা হয়েছিল, তার একটি পাত্র তারা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে দান করেছিল। প্রতীকী অর্থে তারা বলতে চেয়েছিল- গণস্বাস্থ্যও যেন এসব কাজে সম্পৃক্ত থাকে।

সংবাদমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যতই বিপদ হোক, নির্ভীক সাহসিকতার সঙ্গে সংবাদকর্মীরা যে কাজ করছেন, সেটাকে অব্যাহত রাখেন। সবাই মিলিতভাবে কাজ করলে দেশের দরিদ্রতা অনেক কমবে। সবাই মিলে সংগ্রাম অব্যাহত রাখতে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত