সিলেটটুডে ডেস্ক

২৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৫:৫৯

জামিন হয়নি ডা. সাবরিনার

করোনা ভাইরাসের ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগের মামলায় গ্রেপ্তার জেকেজি হেলথকেয়ারের ডা. সাবরিনা শারমিনের জামিন আবেদন খারিজ করে দিয়েছে হাইকোর্ট।

বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ আদেশ দেয়।

জামিন আবেদনের শুনানি শেষে মামলাটি সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায় রয়েছে বিবেচনায় আবেদনটি খারিজ করে দেয় আদালত।

আসামি পক্ষে শুনানি করেন মামুন মাহবুব। রাষ্ট্র পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনিরুল ইসলাম।

জামিন চেয়ে সোমবার হাইকোর্টে আবেদন করেন হয় সাবরিনার আইনজীবীরা।

মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষে মোট ৪৩ সাক্ষীর মধ্যে ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। পরবর্তী সাক্ষ্যের জন্য আগামী ৬ জানুয়ারি দিন ঠিক করা হয়েছে।

সাবরিনা-আরিফুল ছাড়াও এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।

গত ৫ আগস্ট অভিযোগপত্র দাখিলের পর আদালত ২০ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয় আদালত।

মামলাটির অভিযোগপত্রে সাবরিনা ও আরিফুলকে জালিয়াতি ও প্রতারণার মূলহোতা এবং বাকি ছয় জনকে অপরাধে সহায়তাকারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

করোনার ভুয়া রিপোর্ট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথকেয়ারের কর্ণধার আরিফুল চৌধুরীর স্ত্রী ডা. সাবরিনা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের একজন চিকিৎসক ছিলেন। মামলার পর ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

সাবরিনা জেকেজির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তদন্তে উঠে আসে।

সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ১২ জুলাই তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সদুত্তর দিতে না পারায় তাকে একই থানায় আগেই আরিফুলের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গত ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে আরিফুলসহ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ।

তাদেরকে গ্রেপ্তারের পর আরিফুলের ক্যাডার বাহিনী থানায় ভাঙচুর ও হামলা করে। মারধর করে পুলিশকে।

এ ছাড়া রাজধানীর মহাখালীর তিতুমীর কলেজে নমুনা সংগ্রহের বুথ বসিয়ে সেখানে প্রশিক্ষণের নামে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগও রয়েছে রয়েছে সাবরিনা-আরিফুলের বিরুদ্ধে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত