সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ জানুয়ারি, ২০২১ ১১:৫২

ফেনীতে কিশোরী ‘ধর্ষণ’, অটোরিকশা চালক গ্রেপ্তার

ফেনীর দাগনভূঁঞায় এক কিশোরীকে রাতভর আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে বৃহস্পতিবার খুরশিদ আলম (৩৪) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

খুরশিদ আলম ফেনীর দাগনভূঁঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের খুশীপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন অটোরিকশা চালক।

পুলিশ বৃহস্পতিবার রাতে খুরুশিদকে গ্রেপ্তার করে এবং শুক্রবার (১ জানুয়ারি) ফেনীর বিচারিক হাকিম আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে বুধবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের খুশিপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। ওই রাতেই কিশোরী নিজে বাদী হয়ে দাগনভূঞা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

বিজ্ঞাপন

মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরী বুধবার বিকেলে ডাক্তার দেখাতে ফেনী শহরে যায়। ওই দিন রাত ৮টার দিকে ফেনীর মহিপাল এলাকা থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশায় ওঠেন। অটোরিকশায় আরো একজন যাত্রী ছিল। পথিমধ্যে ওই যাত্রীর গন্তব্য শেষ হওয়ায় তিনি নেমে চলে যান। এরপর ওই কিশোরী ছিল অটোরিকশায় একমাত্র যাত্রী। পুরুষ যাত্রী নেমে যাওয়ার পর অটোরিকশা চালক খুরশিদ ওই কিশোরীকে নিয়ে নানাভাবে সময় ক্ষেপণ করেন এবং রাত প্রায় ১টার দিকে কিশোরীকে দাগনভূঞা উপজেলার খুশীপুর গ্রামে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়।

খুরশিদ মুঠোফোনে তার বন্ধু মো. রাসেলকে বাড়িতে নিয়ে আসে। রাতে তারা দুই বন্ধু খুরশিদ ও রাসেল মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন। এক সুযোগে ওই কিশোরী খুরশিদের বাড়ি থেকে পালিয়ে পাশের এক বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাড়িতে যায় এবং পরে দাগনভূঞা থানায় মামলা করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও দাগনভূঞা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পার্থ প্রতীম দেব জানান, ধর্ষণের ঘটনায় ওই কিশোরী নিজেই বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তিনি জানান, মামলার তদন্ত ও অপর আসামি রাসেলকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত