সিলেটটুডে ডেস্ক

০২ জানুয়ারি, ২০২১ ২১:১৫

অন্যগুলোর মতো চসিক নির্বাচনও সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘দেশের অন্যান্য সিটি করপোরেশন ও পৌরসভায় ইভিএমে যেভাবে ভোট হয়েছে সেভাবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচনও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।’

তথ্যমন্ত্রী শনিবার চট্টগ্রাম নগরীর পোর্ট কানেক্টিং সড়কের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন যেভাবে নির্বাচনগুলো পরিচালনা করছে, জনগণের দৃষ্টিতে তারা অত্যন্ত সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করছে। দেশের অন্যান্য সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা নির্বাচনের মতো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনও সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ হবে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ইভিএমে হবে। সুতরাং প্রযুক্তি-নির্ভর অন্যান্য নির্বাচনগুলো যেমন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে হচ্ছে, এখানেও সেভাবে নির্বাচন হবে।’

নির্বাচন এলেই নানা অভিযোগ তোলা বিএনপির ‘অভ্যাস’ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মন্তব্য করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অনেকগুলো স্থানীয় সরকার নির্বাচনে তারা জয়লাভ করেছে, জয়লাভ করার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত নানা অভিযোগ দিয়েছে, যেইমাত্র জয়লাভ করেছে তাদের মুখটা বন্ধ হয়ে গেছে। সুতরাং নির্বাচন আসলে অভিযোগের বাক্স খুলে বসা বিএনপির অভ্যাসগত স্বভাব।’

একইভাবে তারা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন ঘিরেও দলীয় প্রার্থী, এজেন্ট ও নেতাকর্মীদের হয়রানির অভিযোগ তুলেছে বলে মন্তব্য করেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চট্টগ্রাম দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী, পৌনে এক কোটি মানুষের শহর। এই শহরের উন্নয়নের সাথে দেশের উন্নয়ন যুক্ত। চট্টগ্রামের উন্নয়ন মানে পুরো দেশের উন্নয়ন। সে কারণে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সব সময় চট্টগ্রামের উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। এক বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ টাকা খরচ করে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য প্রকল্প চলমান আছে। চট্টগ্রাম শহরের রাস্তাঘাটের উন্নয়নের জন্য ব্যাপক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হলেও দেশের একটি পক্ষ কখনও প্রশংসা করতে পারেন না বলে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ তাদের দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত ব্যক্তি সরকারের উন্নয়নের প্রশংসা করতে পারেন না। তাদের বুদ্ধি আছে, কিন্তু আমাদের সরকার সম্পর্কে বলার সময় তাদের বুদ্ধি কেন লোপ পায় সেটি বুঝতে পারি না। তারা যেভাবে কথা বলেন, দেশে যে এত উন্নয়ন হয়েছে সেটি তারা দেখতে পান না, চোখ থাকতেও তারা অন্ধ। নতুন বছরে আমার প্রত্যাশা থাকবে, তাদের চোখটা অন্ধের মতো কাজ করবে না, চোখ খুলে তারা এসব বিষয় দেখবে, এটিই হচ্ছে জনগণের প্রত্যাশা।’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজনকে ধন্যবাদ জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘অল্প সময়ে যে সমস্ত কাজ অসমাপ্ত ছিল সেগুলো তিনি ঠিকাদারদের তাগাদা দিয়ে, প্রশাসনিক নানা ব্যবস্থা নিয়ে সম্পন্ন করার ব্যবস্থা করেছেন। পোর্ট কানেক্টিং রোডসহ আরও কয়েকটি রাস্তা তার অন্যতম উদাহরণ।’

আউটার রিং রোড হয়েছে, এই আউটার রিং রোডের সাথে কানেক্টিং কিছু রোডের প্রয়োজন। বিদ্যমান প্রকল্পের পাশাপাশি সিডিএ নতুন প্রকল্প প্রণয়নের কাজ শুরু করেছে, যাতে আউটার রিং রোডের সাথে অন্তত তিনটি রাস্তা দিয়ে মূল শহরের সংযোগটা হয়।

কর্ণফুলী বঙ্গবন্ধু টানেলের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি, আগামী বছর কর্ণফুলী টানেল আমরা চালু করতে পারব। এটি উপমহাদেশে প্রথম নদীর তলদেশ দিয়ে টানেল-রোড। প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তান কিংবা নেপালে এ রকম টানেল নেই। প্রধানমন্ত্রী যে চট্টগ্রামকে গুরুত্ব দেন এসব কাজ তারই বহিঃপ্রকাশ।”

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চট্টগ্রামে বে-টার্মিনালের কাজে হাত দেওয়া হয়েছে, সেটি নির্মিত হলে প্রকৃতপক্ষে আরেকটি নতুন চট্টগ্রাম বন্দর হবে। বর্তমান চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়েও অনেক বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন এবং অনেক বড় বন্দর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত