সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ জানুয়ারি, ২০২১ ২১:৩৫

ইরফান সেলিমের মামলা বিচারাধীন, মন্তব্য নয় : র‌্যাব ডিজি

র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র‌্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ‘ইরফান সেলিমের বাড়িতে মাদক ও অস্ত্র পাওয়ার ভিত্তিতে মামলা করা হয়েছিল। পরে পুলিশ তদন্ত করে যা পেয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন দিয়েছে। এটা এখন আদালতের বিচারিক বিষয়। এ বিষয়ে আমরা কথা বলতে চাই না।’

মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে ‘র‌্যাবের সেবা সপ্তাহ’ রক্তদান কর্মসূচি উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।

র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, আমরা আমাদের অভিযান সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালনা করেছি। অভিযানে যেসব জিনিস আমরা পেয়েছি তার ভিত্তিতেই মামলা করেছি। এরপরে ঘটনাস্থলে যা পেয়েছি তা তদন্ত করে মামলা করেছি।

র‌্যাব মহাপরিচালক আরও বলেন, পরে পুলিশ তদন্ত করে যা পেয়েছে তার ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদন দাখিল করেছে। এটা এখন আদালতের বিচারিক বিষয়। বিচারিক বিষয় নিয়ে আমরা কথা বলতে চাই না।

সোমবার ডিএমপির লালবাগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার কুদরত-ই খুদা গণমাধ্যমকে জানান, ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে দায়ের হওয়া দুটি মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিয়েছে পুলিশ। প্রতিবেদনে তাকে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে।

র‌্যাব মহাপরিচালক আরও বলেন, আমাদের তদন্তে উঠে এসেছে ইমরান সেলিমের কাছে কোনো অস্ত্র ও মাদক ছিল না। তার সহযোগী জাহিদের কাছ থেকে এই অস্ত্র ও মাদক পাওয়া গেছে। তাই প্রতিবেদনে তাকে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে।

গত ২৭ অক্টোবর রাতে ডিএমপির চকবাজার থানায় দায়ের হওয়া এ দুটি মামলার বাদি ছিল র‌্যাব। মামলা হওয়ার দুই মাস পরে পুলিশ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ২৫ অক্টোবর রাতে ধানমন্ডিতে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা লে. ওয়াসিম খানকে মারধর করেন সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের গাড়িতে থাকা লোকজন। পরদিন ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নৌবাহিনীর কর্মকর্তা।

মামলায় মোহাম্মদ ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী জাহিদ, মদিনা ডেভেলপারসের প্রটোকল কর্মকর্তা এবি সিদ্দিক ও গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করা হয়।

পরে ২৬ অক্টোবর দুপুরে র‌্যাব পুরান ঢাকার চকবাজারের দেবীদাস লেনে হাজি সেলিমের বাসায় অভিযান চালায়। র‌্যাব ইরফান সেলিম ও তার দেহরক্ষী জাহিদকে হেফাজতে নেয়। বাসায় অবৈধভাবে মদ ও ওয়াকিটকি রাখার দায়ে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের দুইজনকে এক বছর করে কারাদণ্ড দেন। পরে মাদক ও অস্ত্র আইনে তাদের বিরুদ্ধে দুটি করে মোট চারটি মামলা দায়ের করে র‌্যাব।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত