সিলেটটুডে ডেস্ক

০৬ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:২৪

বিভাগীয় পর্যায়ে হচ্ছে তথ্য কমপ্লেক্স, থাকছে সিনেপ্লেক্সও

ঢাকার বাইরে সাতটি বিভাগীয় শহর ও ১৯টি জেলায় তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণে তথ্যমন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। ‘জেলা পর্যায়ে আধুনিক তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ’ শিরোনামে প্রথম পর্যায়ের প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছে ১১০৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।পুরো ব্যয়ই নির্বাহ করা হবে সরকারি অর্থে।

মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন।

সভাশেষে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগের সদস্য (সচিব) আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, আপনারা জানেন, জেলা পর্যায়ে ও বিভাগীয় পর্যায়ে কোন বিভাগীয় অফিস নেই। তাই তথ্যমন্ত্রণালয় সাতটি বিভাগীয় শহর ও ১৯টি জেলায় অফিস করার প্রকল্প গ্রহণ করেছে। ১৯টি জেলা নির্ধারণ করা হয়েছে যেসব জেলায় জমি পাওয়া গেছে, অর্থাৎ জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে জমি পাওয়া গেছে প্রাথমিক পর্যায়ে সেসব জেলাকে নির্বাচিত করা হয়েছে।

সচিব আবুল কালাম আজাদ বলেন, প্রকল্পে প্রতিটি কার্যালয়ের সঙ্গে একটি করে সিনেপ্লেক্স থাকবে। এই সিনেপ্লেক্সে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের সংগ্রাম, ইতিহাস ঐতিহ্য এবং বঙ্গবন্ধু বা স্বাধীনতার পক্ষে ও দেশের উন্নয়ন যে কর্মকাণ্ড তা প্রতিদিন ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে দেখানো হবে। এছাড়াও এ প্রকল্পে তথ্যমন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব ছিল যারা গণমাধ্যমে কাজ করছেন এবং যারা সাংস্কৃতিক অঙ্গনে কাজ করছেন, তাদের মধ্যে একটা যোগসূত্র তৈরি হবে। প্রকল্পটি ভালো বিবেচনায় গৃহীত হয়েছে।

তিনি জানান, বিভাগীয় পর্যায়ের ভবনগুলো হবে ৭তলা এবং জেলা পর্যায়ের ভবনগুলো হবে ৫তলা বিশিষ্ট। ভবনের ডিজাইনও সাংবাদিকদের দেখান সচিব।

গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের (ডিএমসি) ব্যবস্থাপনায় প্রকল্পটির উদ্দেশ্য তথ্য মন্ত্রণালয় বলছে, তথ্য কমপ্লেক্সে নির্মিতব্য ডিজিটাল মাল্টিপারপাস সিনেমা হলে জনগণের মধ্যে সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র দেখার অভ্যাস গঠনের মাধ্যমে চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়ন সাধন করা। সর্বস্তরের জনগণের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতীয় ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতির প্রসার ঘটানোর মাধ্যমে উদ্বুদ্ধ ও উজ্জীবিত করে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করা এবং উন্নয়ন কার্যক্রমে জনগণের প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। এছাড়াও তথ্য কমপ্লেক্সটিকে পরামর্শ কেন্দ্রে পরিণত করে সরকারি বা বেসরকারি গণমাধ্যম, স্থানীয় প্রেসক্লাব, কমিউনিটি রেডিও ইত্যাদি পরস্পরের মাঝে তথ্য আদান প্রদানের ক্ষেত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা; এবং জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র, রাষ্ট্রের উন্নয়ন সম্পর্কিত তথ্যাবলী সংরক্ষণের জন্য ডিজিটাল লাইব্রেরি, ডিজিটাল আর্কাইভ ইত্যাদি নির্মাণ করা।

নতুন এ প্রকল্পটির এ মাসেই শুরু হয়ে শেষ হবে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে।৭টি বিভাগীয় তথ্য অফিস হবে চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও ময়মনসিংহে। আর ১৯টি জেলা তথ্য অফিস হবে গোপালগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কক্সবাজার, কুমিল্লা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, নোয়াখালী, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট, মাগুরা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, সুনামগঞ্জ, শেরপুর ও জামালপুরে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত