সিলেটটুডে ডেস্ক

০৭ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:৩০

চিকিৎসক নন, তবুও পায়ুপথের চিকিৎসা করতেন তিনি!

নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার কুজাইল বাজার সংলগ্ন হিন্দু পাড়ায় অনুমোদনবিহীন ছয় শয্যার একটি অবৈধ চিকিৎসালয়ে অভিযান পরিচালনা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। পায়ুপথের চিকিৎসা করা প্রতিষ্ঠানটিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাসপাতালটিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন রাণীনগরের সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাশেদুল ইসলাম।

জানা গেছে, হাসপাতালটিতে ঝুঁকিপূর্ণভাবে শল্য চিকিৎসা কার্যক্রম চালাচ্ছিলেন অমলা সরকার নামে এক হাতুড়ে ও স্বঘোষিত নারী চিকিৎসক। অনুমোদনবিহীন এ হাসপাতালটি স্থাপন করা ছিল লিয়াকত আলী নামে এক স্থানীয়র বাড়িতে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে আমলা সরকার ও লিয়াকত আলী আর্থিক জরিমানা করা হয়।

স্থানীয়রা জানান, স্থানীয় বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে গত ১০ বছর ধরে নিজেকে চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে পায়ুপথের বিভিন্ন চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন আমলা সরকার। সম্প্রতি এলাকার লোকজন জানতে পারেন আমলা আসলে নথিভুক্ত কোনো চিকিৎসক নন এবং তার হাসপাতালটিও অনুমোদনবিহীন। বিষয়টি ভূমি অফিসে জানানো হলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাশেদুল ইসলাম। আদালতের বিচারকও ছিলেন তিনি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাশেদুল ইসলাম। তিনি জানান, এর আগেও তাকে অর্থদণ্ড করা হয়েছিল। পাশাপাশি তাকে অনুমোদনহীন এ হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি তারা আবার কার্যক্রম শুরু করে। পরে ভূমি কার্যালয়ের একজনকে ছদ্মবেশে রোগী সাজিয়ে ওই হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সত্যতা পাওয়া গেলে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সেখানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

রাশেদুল ইসলাম আরও জানান, নিজেকে চিকিৎসক বলে পরিচয় দেওয়া অমলা সরকারের ভাড়া করা হাসপাতাল থেকে চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত কিছু উপকরণ জব্দ করা হয়। পরে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। হাসপাতাল ভাড়া দেওয়ার কারণে লিয়াকত আলী নামে এক স্থানীয়কে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পরবর্তীতে ফের একই ধরনের ঘটনা ঘটালে তাদের আইনের আওতায় নেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গড়ত বছর নভেম্বরে প্রথমবার আমরা সরকারের পায়ুপথের হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেবারও আদালত পরিচালনা করেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাশেদুল ইসলাম।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত