সিলেটটুডে ডেস্ক

১১ ফেব্রুয়ারি , ২০২১ ২৩:৪০

বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রাষ্ট্রীয় সব সুবিধা বাতিল করা হবে : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী

জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হত্যার সঙ্গে জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার দালিলিক প্রমাণ রয়েছে। জাতির পিতার হত্যাকারী ও সহযোগীদের ন্যূনতম বিচার হবে না, তা হতে পারে না। যারা বঙ্গবন্ধুর খুনি তাদের রাষ্ট্রীয় সব সুযোগ-সুবিধা বাতিল করা হবে।’

উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘বার্মার সু চিকে আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল, সেটা প্রত্যাহার করা হয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ডক্টরেট ডিগ্রি দিয়েছিল, সব প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। কারণ, তিনি রোহিঙ্গাদের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ করেছিলেন। এরকম তিনি (জিয়াউর রহমান) যেদিন মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, সেদিন তিনি মুক্তিযোদ্ধা অবশ্যই। সেদিন বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল, সেজন্য খেতাবও পেয়েছেন। তবে বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ততার দালিলিক প্রমাণ আমাদের কাছে আছে, সেজন্য আমরা তাকে বঙ্গবন্ধুর খুনি হিসেবে চিহ্নিত করেছি। তাই তার রাষ্ট্রীয় সম্মাননা, যেটা রাষ্ট্র তাকে দিয়েছে, সেটা প্রত্যাহারের কথা বলা হয়েছে।’

মন্ত্রী বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাজীপুরের বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে কর অঞ্চল-গাজীপুরের উদ্যোগে ‘সেরা করদাতাদের সম্মাননা ও সনদ প্রদান’ অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর দাবি, এটা তার (জিয়াউর রহমান) বিরুদ্ধে কোনো আক্রোশমূলক সিদ্ধান্ত নয়।

মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি থেকে বলা হয়েছে আদালত তার (জিয়াউর রহমান) কথা বলেনি। আমি উনাদের উদ্দেশে বলতে চাই, আমাদের দেশসহ পৃথিবীর সব দেশের প্রচলিত আইনে মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে কোনো মামলা চলে না। মৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আদালত কোনো রায় দেয় না। এটা শুধু এক্ষেত্রে নয়, সর্বক্ষেত্রে। আদালত সে কারণেই বঙ্গবন্ধু হত্যায় উনার সম্পৃক্ততা কতটুকু সে বিষয়ে হয়তো কোনও মন্তব্য করেনি। তার অর্থ এই নয়, তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন না বা আমরা বলছি- তাতে তিনি সম্পৃক্ত হয়েছেন, তা নয়। জিয়াউর রহমানের জীবদ্দশায় খুনিরা বিভিন্ন ইন্টারভিউতে তার সম্পর্কে কি বলেছেন এবং তিনি কোথায় কি বলেছেন সেসব রেকর্ড ও দালিলিক তথ্য-প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। আমরা যথাসময়ে তা উপস্থাপন করবো।’

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) জামুকার ৭২তম সভায় জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে দেওয়া ‘বীর উত্তম’ খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী ও মোসলেহ উদ্দিনের রাষ্ট্রীয় খেতাবও বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। গেজেট প্রকাশের পর এটি বাতিলের সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এছাড়া জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা পদক পান ২০০৩ সালে। পরে ২০১৬ সালে তা বাতিল করা হয়।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত