সিলেটটুডে ডেস্ক

০৯ নভেম্বর, ২০১৫ ১৬:১৭

শিশু ফরহাদ হত্যা: ৫ বছর পর ৬ জনের ফাঁসি

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় আট বছরের স্কুলছাত্র ফরহাদকে হত্যার দায়ে ৬ জনকে ফাঁসির আদেশ ও ১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালতন।

শিশু রাজন ও রাকিব হত্যার রায়ের ঠিক পরের দিন দেশে আরেক শিশু হত্যার রায় এলো। এজন্যে শিশু ফরহাদের পরিবারকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ৫ বছর।

সোমবার (৯ নভেম্বর) ময়মনসিংহের অতিরিক্ত দায়রা জজ জহিরুল কবির এ রায় ঘোষণা করেন।

সর্বোচ্চ সাজার আদেশ পাওয়া ছয় আসামি হলেন- সাহেব আলী, আব্দুল কদ্দুস, ইব্রাহিম, আব্দুল মজিদ মধু, মোনাজাত আলী ওরফে মন্তা ও মো. জুয়েল। আর যাবজ্জীবন সাজা হয়েছে কমলা খাতুন নামের এক নারীর।

আসামিদের মধ্যে পলাতক সাহেব আলী ছাড়া সবাই রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, মুক্তাগাছা উপজেলার খেরুয়াজানি ইউনিয়নের খেরুয়াজানি গ্রামের আইয়ুব আলীর সঙ্গে আসামিদের জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। এর জের ধরে ২০১০ সালের ৭ মে তারা আইয়ুবের ছেলে ফরহাদকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়।

তিন দিন পর বাড়ির পাশের পুকুর পাড়ে ফরহাদের লাশ পেয়ে পুলিশে খবর দেয় পরিবার।

এ ঘটনায় ফরহাদের বাবা মুক্তাগাছা থানায় সাত জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ওই সাতজনের বিরুদ্ধেই আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।

বাদীপক্ষে ১৮ জনের সাক্ষ্য শোনার পর বিচারক সোমবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

বাদীপক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেন এ ময়মনসিংহের অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট সুবোধ চন্দ্র সরকার। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ এইচ এম খালেকুজ্জামান।

এর আগে রোববার একই দিনে চাঞ্চল্যকর দুই শিশু হত্যা মামলার রায় আসে।

সিলেটে ১৩ বছরের সামিউল আলম রাজনকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় চারজনের মৃত্যুদণ্ড এবং আরও ছয়জনের বিভিন্ন মেয়াদের সাজা হয়। আর খুলনায় ১২ বছরের রাকিব হাওলাদারকে নির্মম কায়দায় হত্যার দায়ে দুইজনের ফাঁসির রায় দেয় আদালত।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত