সিলেটটুডে ডেস্ক

০১ এপ্রিল, ২০২১ ২০:০৫

১৯ মামলা, আসামি ২২ হাজার, গ্রেপ্তার ৩২

হেফাজতের তাণ্ডব

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকায় আগমনকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় আরও ৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এনিয়ে সহিংসতার ঘটনায় মোট ১৯টি মামলা দায়ের করা হলো। এসব মামলায় ১০৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামাসহ ২২ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে সহিংসার ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের পক্ষ থেকে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

নতুন ৭টি মামলার সবকটিই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় দায়ের করা হয়েছে। নতুন মামলাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পৌরসভা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের মামলা, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়ে অগ্নি সংযোগের মামলা, গণগ্রন্থাগার ভাঙচুর ও প্রেসক্লাব ভাঙচুরের মামলা।

এনিয়ে বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) পর্যন্ত এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ১৫টি মামলা দায়ের করা হলো। এছাড়াও গত বুধবার পর্যন্ত সরাইল থানায় একটি, আশুগঞ্জ থানায় দুইটি ও আখাউড়া রেলওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। হামলার ঘটনার বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম-ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। পুলিশ এসব ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করে হামলাকারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের তাণ্ডবে ধ্বংসের নগরীতে পরিণত হয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন অফিস, হিন্দু সম্প্রদায়ের উপাসনালয়, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সংগীতাঙ্গন ও জেলা প্রেস ক্লাবসহ অসংখ্য স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে তারা। রোববার সকাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মুক্তবুদ্ধি চর্চার প্রতিষ্ঠানসহ মুক্তিযুদ্ধের চেতনাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানগুলো জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয় জেলা পরিষদ ভবন, পৌরসভা ভবন, পৌর মিলনায়তন, সদর উপজেলা ভূমি অফিস, পুলিশ লাইন, সদর থানা, খাঁটিহাতা বিশ্বরোড হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি, শহরের কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালী বাড়ি, দক্ষিণ কালী বাড়ি, রেলওয়ে স্টেশন, জেলা আওয়ামী লীগ ও সংসদ সদস্যের কার্যালয়, সরকারি গণগ্রন্থাগার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারের কার্যালয়, তার নিজের ও শশুরবাড়ি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি পাঠাগার চত্বর ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত