সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ এপ্রিল, ২০২১ ২০:১৪

মসজিদে ২০ জনের বেশি নয়

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ের সংক্রমণ রোধে মসজিদে মুসল্লির সংখ্যা বেঁধে দিয়েছে সরকার। সিদ্ধান্ত হয়েছে, একটি মসজিদে ২০ জনের বেশি নামাজ পড়তে যেতে হবে না।

মাহে রমজানে তারাবির নামাজের ক্ষেত্রেও এই বিধিনিষেধ প্রযোজ্য হবে। নামাজে খতিব, ইমাম, হাফেজ, মুয়াজ্জিন ও যে খাদেমরা এই ২০ জনের মধ্যেই পড়বেন।

বুধবার থেকে সারা দেশে সর্বাত্মক যে লকডাউন শুরু হতে যাচ্ছে, সেটিকে সামনে রেখে সোমবার সন্ধ্যা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

গত বছরের মার্চে দেশে করোনা সংক্রমণ ধরার পড়ার পরেও একই ধরনের সিদ্ধান্ত এসেছিল।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জুমার নামাজে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিদের নামাজ আদায় করতে হবে।

রমজানে কোরআন তেলাওয়াত ও জিকিরের মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত ও বিপদ মুক্তির জন্য দোয়া করতেও মুসল্লিদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে সরকার।

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নে সরকার নির্দেশ দিয়েছে।

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে গত ২৯ মার্চ থেকে জনসমাগম কমাতে নানা নির্দেশনা জারি করে সরকার। এতে কাজ না হওয়ায় ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয় এক সপ্তাহের লকডাউন।

প্রথম দিন থেকেই লকডাউন অকার্যকর হয়ে পড়ার পর ১৪ এপ্রিল থেকে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউনে যাওয়ার কথা জানিয়েছে সরকার।

জানানো হয়েছে, এই সময়ে জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। বাড়ির বাইরে যাওয়া যাবে না যৌক্তিক কারণ ছাড়া। প্রথমবারের মতো ব্যাংক বন্ধ রাখারও সিদ্ধান্ত এসেছে। বন্ধ থাকবে পুঁজিবাজারও।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ১৪ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত ১৩ দফা নির্দেশনা মেনে চলতে বলা হয়েছে।

সেই প্রজ্ঞাপনের ১২ নম্বর নির্দেশনায় বলা হয়, ‘স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণ করে জুমা ও তারাবি নামাজের জমায়েত বিষয়ে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা জারি করবে।’

আপনার মন্তব্য

আলোচিত