সিলেটটুডে ডেস্ক

১৪ এপ্রিল, ২০২১ ১৪:২৪

প্রবাসী কর্মীদের জন্য ৫ দেশে বিশেষ ফ্লাইট

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচলের ওপর দেয়া নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পাঁচটি দেশে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

বুধবার সকালে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কোন দেশে কয়টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে এর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৃহস্পতিবার আরও একটি সভা আহ্বান করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘আমি বৈঠকে ছিলাম না, তবে সিদ্ধান্তগুলো আমি জানতে পেরেছি। প্রবাসীকর্মীদের বিষয়টি মাথায় রেখে পাঁচটি দেশ সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুরে বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

‘এখন কীভাবে ফ্লাইট চালানো হবে, ম্যাকানিজমটা কি হবে সেগুলো নিয়ে আগামীকাল আলোচনা হবে,’ জানান তিনি।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার প্রথমে ৫ থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে। পরে এ নিষেধাজ্ঞা আরও দুই দিন বাড়িয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। তবে সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিল্পকারখানা, গণপরিবহন চালু থাকায় তা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে খুব একটা কাজে আসেনি।

এর মধ্যে কঠোর বিধিনিষেধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। বুধবার সকাল থেকে শুরু হয় এই বিধিনিষেধ বাস্তবায়ন। প্রাথমিকভাবে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এই অবস্থা চলবে।

কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে ১৪ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত সব অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। তবে চিকিৎসা, পণ্যবাহী ও বিশেষ ফ্লাইটকে নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে রাখা হয়েছে। এতে অন্তত ২০ হাজার প্রবাসী কর্মীর কর্মস্থলে পৌঁছানো অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বেশি দামে টিকিট কিনেও তারা কাজে যোগ দিতে পারছেন না।

পররাষ্ট্র সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালকও ছিলেন বৈঠকে।

বৈঠকে নেয়া অন্য সিদ্ধান্তগুলো হলে রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রবাসীকর্মীদের বিমানবন্দরে আনার দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও প্রবাসী কর্মীরা জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশ মিশন থেকে ছাড়পত্র নিয়ে দেশে ফিরতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে করোনা নেগেটিভ সনদ ও ১৪ দিনের বাধ্যতামুলক কোয়ারেন্টিনের শর্ত মানতে হবে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত