সিলেটটুডে ডেস্ক

১৬ এপ্রিল, ২০২১ ১২:৪৮

‘লকডাউন’ পালনের দায়িত্বে থাকা পুলিশকে মারধর

করোনা ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সারাদেশের মত জয়পুরহাটে শুরু হয়েছে ৮ দিনের সর্বাত্মক লকডাউন। এই লকডাউনে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নের দায়িত্বে থাকা তিন ট্রাফিক পুলিশকে মারধর করেছে ‘লকডাউন’ অমান্যকারী একদল যুবক। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার ঠিক আগ মুহূর্তে জয়পুরহাট শহরের বিআইডিসি মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আলমগীর জাহান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, `এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জনকে আটক করা হয়েছে।’

আটককৃতরা হলেন, জয়পুরহাট পৌর শহরের বুলুপাড়া মহল্লার ফকির মণ্ডলের ছেলে সানতু মণ্ডল (৩৫), সাহেব পাড়া মহল্লার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে চঞ্চল হোসেন (৩০), রূপনগর মহল্লার সোলায়মান আলীর ছেলে সাগর হোসেন (৩৫), গুলশান চৌমোড় মহল্লার শফিকুল ইসলামের ছেলে আশিকুর রহমান(৩০), সাহেব পাড়ার শহিদুল ইসলামের দুই ছেলে সোহাগ ইসলাম (৩০) ও শুভ ইসলাম (৩২)।

এদের মধ্যে সানতু মণ্ডল ও চঞ্চল হোসেন কাদামাটি গ্রুপের সদস্য এবং তারা হত্যা মামলার আসামি বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও প্রশাসন) মো. তরিকুল ইসলাম।

তিনি জানান, করোনা ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে ছিল জেলা পুলিশের বিভিন্ন স্তরের সদস্যরা। জেলা শহরের বিআইডিসি মোড়ে পুলিশের চেক পোস্টের সামনের রাস্তা দিয়ে আটককৃত সানতু মণ্ডল মোটরসাইকেল যোগে যাচ্ছিলেন। সরকারি নির্দেশ অমান্য করা, মুখে মাস্ক না থাকা এবং মাথায় হেলমেট না থাকায় চেকপোস্টের দায়িত্বে থাকা ট্রাফিক পুলিশ তাকে মোটরসাইকেলের সঠিক কাগজপত্র দেখাতে বললেই সানতুসহ স্থানীয় কয়েকজন যুবক ৩ ট্রাফিক পুলিশের ওপর চড়াও হয় এবং মারধর করে। আহত ৩ ট্রাফিক পুলিশকে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে টি এস আই আবুল কাশেম বাদী হয়ে রাত সাড়ে ১০ টায় জয়পুরহাট থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান জয়পুরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আলমগীর জাহান।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত