২৬ এপ্রিল, ২০২১ ০২:০৫
তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার হারুন অর রশিদ বলেছেন, ‘দেশের বাইরে থেকে মোবাইল ব্যাংকিং ও ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমেও লক্ষ কোটি টাকা এনে মামুনুল বিভিন্ন মসজিদে-মাদ্রাসায় জঙ্গি উগ্রবাদী কাজে ব্যবহার করত। পাকিস্তানের ‘তেহেরিক-ই-লাব্বায়িক’ নামের সংগঠনের আদলে তারা হেফাজতে ইসলামী বাংলাদেশকে গঠন করে পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের মতো এদেশকে গড়ে তুলতে চায়। যার পেছনে জামায়াত-শিবিরের সম্পর্ক রয়েছে।’
রবিবার ( ২৫ এপ্রিল) এক ব্রিফিংয়ে এমন কথা জানান হারুন অর রশিদ।
হারুন অর রশিদ বলেন, ‘মামুনুল হকের জব্দ করা মোবাইল ফোন থেকে বাবরি মসজিদের নামে কাতার, দুবাই ও পাকিস্তান থেকে টাকা আনার তথ্য-প্রমাণও মিলেছে।’
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি শরিফুল হক ডালিমের সঙ্গে মামুনুল হকের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। তার শ্বশুরের আপন ভায়রা ভাই হচ্ছেন মেজর ডালিম। মামুনুল হক হেফাজতকে সিঁড়ি হিসেবে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেয়েছিলেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার হারুন অর রশিদ।
সাত দিনের পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদকালে কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক দলটির কেন্দ্রীয় এই নেতার রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষের তথ্যও জানতে পেরেছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
উপ-কমিশনার হারুন বলেন, ‘পাকিস্তানের একটি সংগঠনের আদলে দেশে হেফাজতে ইসলাম পরিচালনা করছিল মামুনুল। তিনি রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষী ছিলেন। জামায়াতের সহায়তায় বর্তমান সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা ছিল তার।’
জিজ্ঞাসাবাদে ‘জঙ্গিবাদের’ সঙ্গে মামুনুলের সম্পৃক্ততার তথ্য উঠে এসেছে উল্লেখ করে উপ-কমিশনার হারুন জানান, তার ভগ্নিপতি মাওলানা মুফতি নেয়ামত উদ্দিন, মাওলানা তাজউদ্দীন ২০০৪ সালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল।
তিনি বলেন, ‘একবার নেয়ামত উদ্দিন গ্রেপ্তারও হয়েছিল। তাকে পরে ছাড়িয়ে আনে। এই নেয়ামতের সঙ্গে ২০০৫ সালে পাকিস্তানে গিয়ে ৪৫ দিন ছিলেন মামুনুল। সেখানে বিভিন্ন জঙ্গি-রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে তখন যোগাযোগ করে।’
আপনার মন্তব্য