সিলেটটুডে ডেস্ক

০৮ মে, ২০২১ ১৩:৫২

দেশে করোনার ভারতীয় ধরন শনাক্ত

ভারতজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের ডাবল মিউট্যান্ট করোনার ধরনে আক্রান্ত প্রথম একজন রোগী শনাক্ত হয়েছে বাংলাদেশে।

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ওই রোগীর করোনার নমুনা পরীক্ষায় এটি শনাক্ত হয় শনিবার দুপুরে নিশ্চিত করেন রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন।

জার্মান সরকারের অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে পরিচালিত গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটায় (জিআইএসএইড) বিষয়টি উঠে এসেছে বলে জানান তিনি।

জিআইএসএইডে করোনাভাইরাসের সব ধরনের জিনোম সিকুয়েন্সের তথ্য জমা রাখা হয়।

আলমগীর বলেন, ‘এভারকেয়ার হাসপাতালে স্যাম্পল আমি দেখছি, না ধরা পড়লে তাদের সাইটে ইনফর্মেশনটি আপ করত না। এ পর্যন্ত কত জনের শরীরে এই ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে তা বলা যাচ্ছে না।’

ভারত থেকে দেশে ফেরার পর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকাদের মধ্যে ৬০ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে ফিরেছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তবে তারা করোনার ভারত ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত কি না সেটি জানতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে। এর আগেই ভারতের ডাবল মিউট্যান্ট ধরনে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলো।

গত বৃহস্পতিবার করোনা মহামারির পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বুলেটিনে জানানো হয়, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে এবং অন্যান্য দেশের ভ্যারিয়েন্টের প্রবেশ ঠেকাতে ১৯ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ১৬ হাজারের বেশি মানুষকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

দেশে ভারতের ডাবল মিউট্যান্ট ধরনের করোনা ঠেকাতে বেনাপোল দিয়ে আসা ১ হাজার ২৫২ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন করা হয়েছে, এর মধ্যে ৬০ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে দেশে এসেছেন।

ভারতে প্রতিদিনই করোনা শনাক্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছে। এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে করোনার ডাবল মিউটেশনের ধরনকে। এটির ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতা অন্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় দ্বিগুণ বলেও জানান স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। ডাবল মিউট্যান্ট হিসেবে পরিচয় পাওয়া করোনার ধরনটিকে নাম দেয়া হয়েছে ‘ভ্যারিয়েন্ট বি.১.৬১৭’।

বাংলাদেশে ভ্যারিয়েন্টটির প্রবেশ ঠেকাতে ২৬ এপ্রিল থেকে ভারতের সঙ্গে যাত্রী চলাচলে সীমান্ত বন্ধ করে সরকার।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত