সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ মে, ২০২১ ১৬:৩২

ফেরিতে হুড়োহুড়ি: ৬ জনের মৃত্যু, আহত অর্ধশতাধিক

মাদারীপুরের বাংলাবাজারে দুটি ফেরি থেকে হুড়োহুড়ি করে নামতে গিয়ে ভিড়ের চাপে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পদদলিত হয়ে আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক।

ওই ঘাটে ফেরিতে ওঠার জন্য অপেক্ষায় থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন শেষ হয়ে যাওয়ায় মৃত্যু হয়েছে রোগীর। শিবচর উপজেলার বাংলাবাজার ফেরিঘাটে বুধবার দুপুরে এসব ঘটনা ঘটে।

শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিরাজ হোসেন এই তথ্যগুলো নিশ্চিত করে জানান, দুপুরে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে বাংলাবাজার পৌঁছায় এনায়েতপুরী নামের রো রো ফেরিটি। তিন নম্বর ফেরিঘাটে এটি ভিড়লে নামার সময় যাত্রীদের চাপে চারজন অসুস্থ হয়ে পড়েন।

ফেরির পন্টুনেই তাদের মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে একজনের পরিচয় নিশ্চিত করা গেছে। তার নাম নিপা বেগম, বাড়ি মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায়।

ওসি আরও জানান, এর আগে বুধবার বেলা ১১টার দিকে এই ঘাটেই শাহ পরান নামের আরেকটি রো রো ফেরি ভিড়লে নামার সময় যাত্রীদের চাপে এক কিশোর অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। তার নাম আনছার মাদবর, বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কালিকা প্রসাদ গ্রামে।

এনায়েতপুরী ফেরির যাত্রী নুর ইসলাম বলেন, ফেরিটি শিমুলিয়া ঘাটে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিল। প্রচণ্ড গরম আর অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে তাদের এমনিতেই দম বন্ধ হয়ে আসছিল। ফেরিটি বাংলাবাজার ঘাটে আসলে নামার জন্য হুড়োহুড়িতে বেশ কয়েকজন পদদলিত হন। তীব্র গরমে হিট স্ট্রোক ও শ্বাস বন্ধ হয়ে কয়েক জন মারা যান।

মৃত নিপার সঙ্গে থাকা এক কিশোর জানান, তিনি তার মা। সে জানায়, ফেরি চলার সময় ধাক্কাধাক্কিতে বেশ কয়েকজন তার মায়ের উপর পড়ে। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর আবার ধাক্কাধাক্কি শুরু হলে তার মাকে হারিয়ে ফেলেন। ঘাটে ফেরি ভিড়লে মায়ের লাশ দেখতে পান তিনি।

দুপুরেই ওই ঘাটে ফেরিতে ওঠার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্সে অক্সিজেন ফুরিয়ে যাওয়ায় মৃত্যু হয় রোগীর। তিনি হলেন বরিশালের হিজলা উপজেলার হারুন মিয়া।

ওসি মিরাজ জানান, সবকটি মরদেহ এখন বাংলাবাজার ঘাটে রাখা হয়েছে।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত