সিলেটটুডে ডেস্ক

২০ মে, ২০২১ ১৪:১৯

রোজিনার জামিন শুনানি শেষ, নথি দেখে আদেশ

প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি চুরির অভিযোগে অফিসিয়াল সিক্রেটস আইনে করা মামলার জামিন আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ভার্চুয়ালি এ শুনানি শুরু হয়। ২টার দিকে শুনানি শেষ হয়। আদালত জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আদেশ দেওয়া হবে।

রোজিনার আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার বলেন, সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুর্নীতিও অনিয়ম নিয়ে ইতিপূর্বে যে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করেছে তা ছিলো জনস্বার্থ সংশ্লিষ্ট। তিনি একজন পেশাদার সাংবাদিক। তার বিরুদ্ধে যে ধারায় মামলা করা হয়েছে তা সাংঘর্ষিক ও অনাকাঙিক্ষত। রোজিনা ইসলামের একটি শিশু সন্তান রয়েছে, তাছাড়া তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ। সার্বিক বিবেচনায় আমাদের প্রত্যাশা, রোজিনা ইসলাম জামিন পাবেন।

রোজিনা ইসলামের জামিন শুনানির জন্য সকাল থেকেই আদালতে অপেক্ষায় আছেন আইনজীবীরা। আদালতের সামনে গণমাধ্যমকর্মীদেরও ভিড় করতে দেখা গেছে।

আদালতের বাইরে অপেক্ষায় আছেন রোজিনা ইসলামের স্বামী মনিরুল ইসলাম মিঠু ও তার স্বজনেরা। পরিস্থিতি নিযন্ত্রণে অবস্থান নিয়ে আছেন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

এর আগে মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ জসিম রোজিনার বিরুদ্ধে পুলিশের করা রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করে জামিন শুনানির জন্য ২০ মে দিন ধার্য করেন।

শাহবাগ থানার মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আরিফুর রহমান সরদার ওইদিন আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছিলেন। বিচারক রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত, রোজিনা ইসলাম পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সোমবার (১৭ মে) বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে যান। পরে জানা যায়, তাকে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা একটি কক্ষে আটকে রেখেছেন। রোজিনা ইসলামকে আটকে রাখার খবর পেয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই ভবনে যান। কিন্তু দীর্ঘ সময় ধরে তাকে আটকে রাখার কারণ সম্পর্কে গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলেও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা কিছুই জানাননি।

একপর্যায়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে কিছু নথি সরানোর অভিযোগ এনে পুলিশ ডাকা হয়েছে। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে রোজিনাকে শাহবাগ থানায় নিয়ে আসা হয় এবং রাতেই তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। পরে মঙ্গলবার (১৮ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসীমের আদালত রোজিনা ইসলামের রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত