নিজস্ব প্রতিবেদক

২১ নভেম্বর, ২০১৫ ২০:২৪

মুক্তিযোদ্ধার কাছে রাজাকারের প্রাণভিক্ষা নতুন এক বিজয়

সব ধরনের আইনি পর্যায় শেষে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত দুই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরী ও আলী আহসান মুজাহিদ মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রপতি এডভোকেট আবদুল হামিদের কাছে নিজের কৃতকর্মের জন্যে স্বীকারোক্তি প্রদান করতঃ প্রাণভিক্ষা চেয়েছে।

একজন মুক্তিযোদ্ধার কাছে দুই শীর্ষ রাজাকার তথা যুদ্ধাপরাধীর এমন ক্ষমা প্রার্থনাকে নতুন এক বিজয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন অনেকেই। এটাকে আবার যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির নতুন কোন কৌশল কিনা এ নিয়েও সন্দিহান অনেকেই।

দুই শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর প্রাণভিক্ষা সম্পর্কে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ভবতোষ বর্মণ বলেন, জামায়াতে ইসলাম সবসময়ই বিভিন্ন ছলচাতুরি করে টিকে থাকার চেষ্টা করেছে। বিশেষ করে তারা ধর্মের মুখোশ পরিধান করে তাদের অপকর্ম চালিয়ে গেছে এই দেশে। আজকের ক্ষমা প্রার্থনা তাদের নতুন কৌশল।

“আমার দাবী কোনভাবেই যেন এই অপরাধীদের ক্ষমা করে দেয়া না হয়। তবে আমি মনে করি জামায়াত শিবির নিষিদ্ধে নতুন একটি ধাপ উন্মেষ হলো”।

সচেতন নাগরিক কমিটি সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সাকা- মুজাহিদের ক্ষমা চাওয়ায় প্রমাণিত হল এরা অপরাধী। ৭১ সালে আমরা ছাত্র ছিলাম। আমরা দেখেছি এসব রাজাকার আলবদর কতটা হিংস্র ছিল। তাদের ক্ষমা প্রার্থনায় হতবাক হয়ে কোন ভাবেই যেন এদের ক্ষমা করে দেওয়া না হয়। একজন নির্যাতিত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য হিসেবে এটাই আমার দাবী।

অনলাইন এক্টিভিস্ট ও গণজাগরণ আন্দোলনের সংগঠক রাজীব রাসেল বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধার কাছে দুই শীর্ষ রাজাকার তথা যুদ্ধাপরাধীর এমন ক্ষমা প্রার্থনাকে নতুন এক বিজয়। আজকের কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা চাওয়ায় আবার প্রমাণিত হল জামাত শিবির অপরাধী। এবার জামাত শিবির নিষিদ্ধ করা হোক।

উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন প্রত্যাখ্যাত হলে ফাঁসি কার্যকরে আর কোন বাধা থাকবে না।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত