সিলেটটুডে ডেস্ক

২২ নভেম্বর, ২০১৫ ২১:৫৪

সাকা-মুজাহিদের দণ্ড নিয়ে বিবৃতি : পাকিস্তান হাইকমিশনারকে তিরস্কার, ব্যাখ্যা দাবি

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সর্বশেষ রায় কার্যকর সম্পর্কে আপত্তিকর সমালোচনা করায় ঢাকায় অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাসের হাইকমিশনার সুজা আলমকে রবিবার বিকেলে ডেকে এনে তিরস্কার করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পাশাপাশি দেশটির হাইকমিশনারকে লিখিতভাবে ব্যাখ্যা দিতেও বলা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে রবিবার সন্ধ্যায় এই তথ্য জানা গেছে।

১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শীর্ষ দুই যুদ্ধাপরাধী বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে শনিবার দিনগত রাতে (রবিবার, ২২ নভেম্বর) ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

ওই রায় কার্যকরের পর রবিবার পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র কাজী খলিলুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসির মতো দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ এবং গভীর যন্ত্রণা অনুভব করছি।

হাইকমিশনার সুজা আলমকে ডেকে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে পাকিস্তান এমন মন্তব্য করতে পারে না। ঘটনাটি দৃষ্টিকটু এবং শিষ্টাচার বর্হিভূত। কেননা যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বাংলাদেশের বেশিরভাগ জনগণেরই এই বিষয়ে স্বতস্ফূর্ত সমর্থন এবং সহযোগিতা রয়েছে।

এই সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাকিস্তানের হাইকমিশনারকে পরামর্শ দিয়ে বলা হয়, পাকিস্তানের উচিত নিজেদের দিকে তাকানো। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিচার ব্যবস্থা নিয়ে তাদের ভাবার কোনো অধিকার নেই।

উল্লেখ্য, ইসলামাবাদে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে রবিবার (২২ নভেম্বর) প্রকাশিত এক বিবৃতিতে পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে আপত্তিকর ভাষায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভের সাথে আমরা লক্ষ্য করেছি যে দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতা সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং আলী আহসান মুহাম্মদ মুজাহিদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। এই ঘটনায় পাকিস্তান শঙ্কিত।”

পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “১৯৭১ সালের ঘটনার ব্যাপারে বাংলাদেশে যে ত্রুটিপূর্ণ বিচার চলছে সেবিষয়ে আমরা আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়াও লক্ষ্য করেছি।”

পাকিস্তান সরকার তাদের বিবৃতিতে বলেছে, “পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ১৯৭৪ সালের ৯ই এপ্রিল যে সমঝোতা হয়েছে সে অনুসারে বাংলাদেশে জাতীয় সমঝোতার প্রয়োজন আছে। এই সমঝোতায় ১৯৭১ সালের ব্যাপারে ভবিষ্যতের দিকে তাকানোর কথা বলা হয়েছে।”

আপনার মন্তব্য

আলোচিত