মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় জামিন পেয়ে কারাগার থেকে বের হয়েছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। বের হওয়ার সময় তিনি বেশ উৎফুল্ল ছিলেন। এসময় তাকে সাদা রঙের একটি গাড়িতে করে বের হতে দেখা যায়। তখন তিনি সেলফি তুলেন এবং হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান।

এদিকে কারাফটক থেকে বের হয়েই ভক্তদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন তিনি। পরীমণিকে দেখতে সকাল থেকেই কারাফটকের সামনে ভিড় করেন কয়েক হাজার ভক্ত। পরীমণি বের হলে তারা চিৎকার করে উল্লাসে ফেটে পড়েন।

পরীমণিও ভক্তদের ভালোবাসার প্রতিদান দেন। গাড়ি থেকেই বেশ কয়েকজন ভক্তের সঙ্গে হাত মেলান। ভক্তদের সঙ্গে সেলফিও তোলেন তিনি। তবে এ সময় পরীমণি কারো সঙ্গে কথা বলেননি।

এর আগে, সকাল ৯টা ৫ মিনিটে পরীমণিকে নিতে কাশিমপুর কারাফটকে প্রবেশ করেন তার খালু মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ও আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সুরভী।

কাশিমপুর মহিলা কারাগারের জেলসুপার হালিমা খাতুন জানান, সকাল ৯টা ২১ মিনিটে পরীমণিকে তার খালু মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন এবং আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত সৌরভের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় পরীমণির জামিন মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র‍্যাব। তখন তার বাসায় বিভিন্ন মাদক পাওয়া গেছে বলে জানায় র‍্যাব।

এরপর ৫ আগস্ট র‍্যাব বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমণি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পরীমণি ২০১৬ সাল থেকে মাদক সেবন করতেন। এমনকি এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন তিনি। এজন্য বাসায় একটি ‘মিনিবার’ তৈরি করেন। বাসায় নিয়মিত ‘মদের পার্টি’ করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় অ্যালকোহলসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকের সরবরাহ করতেন ও পার্টিতে অংশ নিতেন।

২০১৪ সালে সিনেমায় ক্যারিয়ার শুরু করেন পরীমণি। এ পর্যন্ত তিনি ৩০টি সিনেমা ও বেশ কয়েকটি টিভিসিতে অভিনয় করেছেন। পিরোজপুরের মেয়ে পরীমণিকে চলচ্চিত্র জগতে নিয়ে আসেন প্রযোজক রাজ।