২৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১২:০৩
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় প্রায় সাড়ে ছয় মাস কারাভোগের পর অবশেষে জামিন পেলেন সুনামগঞ্জের শাল্লার বাসিন্দা ঝুমন দাস।
নিম্ন আদালতে তার জামিন আবেদন বারবার নাকচ হওয়ায় দেশজুড়ে সমালোচনার মুখে বৃহস্পতিবার তাকে জামিন প্রদান করেন হাই কোর্ট।
বৃহস্পতিবার সকালে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাই কোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়।
ঝুমনকে এক বছরের জন্য জামিন দিয়েছেন আদালত। তবে এ সময়ের মধ্যে দেশের বাইরে যেতে পারবেন না তিনি। এমনকি আদালতের অনুমতি ছাড়া যেতে পারবেন না সুনামগঞ্জের বাইরেও।
সুনামগঞ্জের শাল্লার বাসিন্দা ঝুমন দাস (২৫)। হেফাজতে ইসলামের কারাবন্দি সাবেক নেতা মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে পুলিশ।
১৬ মার্চ ফেসবুকে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ার অভিযোগ তুলে ১৭ মার্চ সুনামগঞ্জর শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলা চালানো হয়। এর আগে ১৬ মার্চ রাতে ঝুমনকে আটক করে থানা-পুলিশ। তাকে ১৭ মার্চ ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত সেদিন তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। ২২ মার্চ শাল্লা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে পুলিশ। এই মামলায় গত ২৩ মার্চ ঝুমনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ৩০ মার্চ তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর থেকে তিনি কারাবন্দি।
ঝুমনকে গ্রেপ্তারের পরদিান ১৭ মার্চ সকালে ঝুমনের গ্রাম নোয়াগাঁওয়ে হামলা চালায় হাজারো সশস্ত্র লোক। তারা ঝুমনসহ গ্রামের অন্তত ৯০টি হিন্দু বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
এই ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সব আসামিরা জামিন পেলেও ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ছয় মাস ধরে কারাগারে ছিলেন ঝুমন।
ছয় মাসেও ঝুমন দাস জামিন না পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন অনেকেই। অনলাইনে ও রাজপথে তার জামিনের দাবিতে সোচ্চার ছিলেন বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন।
আপনার মন্তব্য