সিলেটটুডে ডেস্ক

০৫ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৫:৫৬

‘জাকির নায়েক বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ প্রচার করছেন’

ইসলামিক টেলিভিশন নেটওয়ার্ক চ্যানেল পিস টিভির মাধ্যমে জাকির নায়েক বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ প্রচার করছেন বলে অভিযোগ করেছেন মাদ্রাসা অধ্যক্ষ এবং ইমামরা।

শনিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর পুলিশ সদরদপ্তরে ‘জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে ইসলামের ভূমিকা: বাংলাদেশ প্রেক্ষিত’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় জঙ্গিবাদ দমনে বেশ কিছু দাবি জানিয়েছেন তারা। পুলিশের মহাপরিদর্শক একেএম শহীদুল হকের সঙ্গে ২০ জেলার ৩৫ জন ওলামা-মাশায়েখ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।

মাদ্রাসা প্রধান এবং ইমামরা অবিলম্বে বাংলাদেশে পিস টিভির সম্প্রচার বন্ধের দাবি জানিয়ে বলেন, ওই টিভির মাধ্যমে জাকির নায়েক দেশে দেশে জঙ্গিবাদ প্রচার করছেন।

মতবিনিময় সভায় ওলামা-মাশায়েখরা বলেন, ইসলামি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসের সঙ্গে ইহুদি ও মার্কিনিদের সম্পর্ক রয়েছে। আইএসের মাধ্যমে মার্কিনিরা বাংলাদেশে প্রবেশ করতে চাচ্ছে। কারণ আইএস ইসরাইল নিয়ে কখনও কোনো মন্তব্য করেনি।

গোপিবাগে কথিত ইমাম মাহদীর সেনাপতি হত্যা, বাড্ডায় পীর খিজির খান আর রাজাবাজারে মাওলানা ফারুকী, অন্যদিকে ধারাবাহিকভাবে ব্লগার প্রকাশক লেখক ও বিদেশী হত্যাকাণ্ড, শিয়া মসজিদ ও রাস উৎসবে হামলা। সবগুলোর পেছনেই জঙ্গী সম্পৃক্ততার তথ্য গোয়েন্দাদের হাতে।

এছাড়া একগুচ্ছ দাবি জানিয়েছে ওলামা মাশায়েখরা। এগুলো হচ্ছে সব ওলামা- মাশায়েখদের নিরাপত্তা জোরদার, পিস টিভি নিষিদ্ধ, কওমী ও আলিয়া মাদ্রাসায় জঙ্গি ঢুকতে না পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখা, পাড়া-মহল্লায় ওয়াজ মাহফিল করার আগে থানার অনুমতি গ্রহণ, মাদ্রাসা বোর্ডকে জামায়াতমুক্ত করা, সরকারবিরোধী কাজে লিপ্তদের তৎপরতা বন্ধে উদ্যোগ ও সারাদেশে ইমামদের তালিকা করার দাবি জানান তারা।

নিজেদের নিরাপত্তায় পুলিশের সহায়তা চান ওলামা মাশায়েখরা। তারা বলেন, আপনারা যদি আমাদের নিরাপত্তা দেন তাহলে এদেশে জঙ্গিবাদের অস্তিত্ব থাকবে না।

এ বিষয়ে কথা বলেন পুলিশের বিশেষ শাখা প্রধান। অতিরিক্ত আইজি জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, আপনারা যে সকল সুপারিশ করেছেন, সেগুলো আমরা লিপিবদ্ধ করেছি। এর মধ্যে থেকে সরকারকে কিছু নীতিমালা গ্রহণের জন্য সুপারিশ প্রদান করবো।

জনগণকে জঙ্গিবাদ বিরোধী তৎপরতায় উদ্বুদ্ধ করতে ওলামা-মাশায়েখদের আহ্বান জানান পুলিশ প্রধান। ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ একেএম শহীদুল হক বলেন, যদি কোনো বিষয়ে দ্বিমত থাকে তাহলে সেটা সামনে এসে বলুন কিন্তু বোমা মেরে জিহাদ কায়েম করলে সেটা বোঝায় যায় যে তারা দুস্কৃতিকারী।

আগামীতে জেলায় জেলায় উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি আয়োজন করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর বডির সদস্য খন্দকার গোলাম মাওলানা নকশবন্দি, বাংলাদেশ আহলে সুন্নত আল জামাতের সভাপতি সৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী প্রমুখ।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত