সিলেটটুডে ডেস্ক

০৮ ডিসেম্বর, ২০১৫ ১৯:৪৮

বাংলাদেশে বিদেশী হত্যা খিলাফা’র সৈন্যদের কাজ: দাবিক

বাংলাদেশে বিদেশী নাগরিক হত্যাকান্ড খিলাফহ'র সৈন্যদের কাজ এবং দেশটির ইসলামপন্থী সংগঠনগুলোর মধ্যে একমাত্র জামা'তুল মুজাহিদীনই যথার্থ 'জিহাদি' সংগঠন - ইসলামিক স্টেটের মুখপত্র দাবিকে সাম্প্রতিক এক নিবন্ধে এমনটাই বলা হয়।

দাবিকের সাম্প্রতিক দ্বাদশ সংখ্যার বরাত দিয়ে বিবিসি বাংলা জানায়, 'বেঙ্গলে জিহাদের পুনরুত্থান' নামের নিবন্ধে বাংলাদেশে চেজারে তাভেলা ও কুনিও হোশি হত্যাকান্ডকে 'খিলাফাহ'র সৈন্যদের' দুটি পৃথক 'নিরাপত্তা দলের মহান কাজ' বলে উল্লেখ করা হয়। এ দুটি আক্রমণ 'ক্রুসেডারদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করে' বলে প্রশংসা করা হয়। নিবন্ধটিতে ঢাকার হোসেনি দালানে শিয়া মুসলিমদের তাজিয়া মিছিলে হামলার কথাও আছে।

বলা হয়, খিলাফাহ'র সৈন্যরা ইসলামিক স্টেটের নেতৃত্বের আদেশ পেয়েই ক্রুসেডার ও তার সহযোগীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এক জায়গায় বলা হয় বেঙ্গলের সরকার যতই বলুক 'বাংলাদেশে আইএস নেই', কিন্তু 'তিউনিসিয়া থেকে বেঙ্গল পর্যন্ত আইএস আছে এবং থাকবে'।

দাবিকের এই নিবন্ধটিতে বাংলাদেশকে 'বেঙ্গল' বলে উল্লেখ করা হয়, এবং জেএমবি ছাড়া অন্য সংগঠনগুলোকে প্রকৃত ইসলামী সংগঠন নয় বলে বলা হয়।

নিবন্ধে ২০০১ সালে ক্ষমতাসীন হওয়া বিএনপি-জামাত সরকারকে 'মুরতাদদের কোয়ালিশন' বলে উল্লেখ করা হয়। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশকে 'তথাকথিত মুসলিম ব্রাদারহুডের একটি উপমহাদেশীয় সংস্করণ' অভিধা দেয়া হয় এতে। জামায়াত নেতা মতিউর রহমান নিজামীর একটি ছবির শিরোনামে তাকে মুরতাদদের নেতা বলে আখ্যায়িত করা হয়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে আখ্যায়িত করা হয় 'সীমালংঘনকারী' হিসেবে।

এতে বলা হয়, ১৯৮০র দশকে আফগানিস্তানের জিহাদে বাংলাদেশের অনেকে অংশ নিয়েছিলেন । তবে তখন বেঙ্গল-এ কোরান ও সুন্নাহর ভিত্তিতে 'সঠিক' কোন জিহাদী সংস্থা ছিল না। তবে ১৯৯০ এর দশকে শায়খ আবদুর রহমান জামাতুল মুজাহিদীন নামে যে সংগঠন তৈরি করেন -তার প্রশংসা করে বলা হয়, এতে বেঙ্গল-এর মুসলিমদের মধ্যে নতুন আশার আলো দেখা দেয়।

বলা হয়, শত শত বছর ধরে এই বেঙ্গল 'শির্ক ও বিদাতে নিমজ্জিত' ছিল - যার কারণ হিসেবে ইউরোপীয় উপনিবেশবাদ এবং হিন্দু সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কথা উল্লেখ করা হয়।

নিবন্ধে শায়খ আবদুর রহমানের নেতৃতত্বে 'যখাযথ সামরিক প্রশিক্ষণ' দিয়ে মুজাহিদ তৈরি এবং 'সরকার, আদালত এবং মানবরচিত আইনের বিরুদ্ধে' তাদের 'অপারেশনের' প্রশংসা করা হং।

শায়খ আবদুর রহমান এবং তার সহযোগীদের ফাঁসির কথা উল্লেখ করে তাদের শহীদ হিসেবে গ্রহণের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয় নিবন্ধে।

এতে বলা হয়, এই ফাঁসি এবং 'মুজাহিদ আলেমদের হত্যায়' জড়িত যে লোকেরা আল্লাহর সতর্কবাণী উপেক্ষা করেছিলেন - কয়েক বছরের মধ্যেই তাদের কয়েকজন সহ 'সীমালংঘনকারী' সেনাবাহিনী এবং 'মুরতাদ' সীমান্তরক্ষী বাহিনীর বহু অফিসার ও কমান্ডার এক বিদ্রোহে নিহত হন।

আরো বলা হয় 'মুরতাদ' বিএনপি ও জামাতের যে লোকেরা এতে উল্লাস প্রকাশ করেছিলেন তাদেরকেই আবার 'সীমালংঘনকারী' আওয়ামী লীগের সরকার যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ফাঁসি দিয়েছে।

স্পষ্টতই এতে বিডিআর বিদ্রোহ এবং ১৯৭১-এর যুদ্বাপরাধের বিচারের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে বলে মনে হয়।

ইরাক এবং সিরিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ইসলামিক স্টেট 'খেলাফত' প্রতিষ্ঠা করেছে বলে দাবি করে থাকে - যার প্রধান বা খলিফা হলেন আবু বকর আল-বাগদাদি।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত