সিলেটটুডে ডেস্ক

১২ মে, ২০২২ ১৫:২৪

আপাতত হাসপাতালেই থাকছেন সম্রাট

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাঈল চৌধুরী সম্রাট এখনই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না। আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নজরুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১২ মে) সম্রাটের চিকিৎসার সর্বশেষ অবস্থা জানাতে বিএসএমএমইউ-এ এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নজরুল ইসলাম বলেন, ‌‘আগামী সোমবার আমরা একটি মেডিকেল বোর্ড করবো। তার অবস্থা বিবেচনা করে পরিবারের সঙ্গে আলাপ করবো। তার অভিভাবকরা না নিয়ে যাওয়া পর্যন্ত তিনি এখানেই থাকবেন। এর মধ্যে কোনো অসুবিধা দেখা দিলে তাকে হয়তো আবারও লম্বা সময়ের জন্য এখানে থাকতে হতে পারে। ’

একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের হার্টের ক্যাপাসিটি ৬০-৬২ ভাগ থাকা দরকার উল্লেখ করে বিএসএমএমইউ পরিচালক বলেন, ‘সেখানে ইসমাঈল চৌধুরী সম্রাটের হার্টের ক্যাপাসিটি ৩১-৩৩ ভাগ বা কখনো কখনো ৩৪ ভাগ ছিল। এখানে ভর্তি হওয়ার আগে তার বাল্ব রিপ্লেসমেন্ট করা ছিল। এ পরিস্থিতিতে তিনি আমাদের কাছে এসেছেন। আমরা তাকে কয়েদি নয়, রোগী হিসেবে দেখেছি।’

সম্রাট হাসপাতালে থাকা অবস্থায়ও স্বাভাবিক কার্যক্রম করতে পারতেন না জানিয়ে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শঙ্কিত ছিলাম, এখানে না তার কিছু হয়ে যায়। আজ সকালে আইজি প্রিজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানালেন, আমাদের কাছে অফিশিয়াল কাগজ পাঠাবেন। তবে তাদের দিক থেকে সম্রাট মুক্ত।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা একটা বোর্ড গঠন করব। তার শারীরিক অবস্থা দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এতদিন অন্য কোথাও চিকিৎসা নেওয়ার ব্যাপারে তারও কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল। এখন আর সে বাধা নেই। তিনি বা তার পরিবার চাইলে এখানে বা অন্য কোথাও কিংবা দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে পারবেন।’

এ ব্যাপারে বিএসএমএমইউয়ের কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. রায়হান মাসুম মণ্ডল বলেন, ইসমাঈল চৌধুরী সম্রাটের হার্টের অবস্থা স্বাভাবিক আছে। তবে ওনার রোগের গতিবিধিটা এমন যে, ওষুধ চলা অবস্থায়ও যেকোনো সময় অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। গত তিন সপ্তাহে চেক করে দেখেছি তার জীবনের ঝুঁকি নেই। যে কারণে আমরা মোটামুটি সেইফ সাইডে ছিলাম যে, তিনি যেতে পারবেন।

যতদিন তিনি আমাদের কাছে ছিলেন, তার অভিভাবক জেল কর্তৃপক্ষ ছিল উল্লেখ করে কার্ডিওলজি বিভাগের এই চিকিৎসক বলেন, ‘এখন তারা যদি এই দায়িত্ব পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে, তাহলে আমরা পরিবারের কন্ডিশন অনুযায়ী কী চিকিৎসা দরকার, সেটা জানাব। এরপর সিদ্ধান্ত তারা নেবেন, দেশে চিকিৎসা করাবেন নাকি বাইরে।’

ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার হয়ে কারাবন্দী থাকা সম্রাট সব মামলায় জামিন পাওয়ার পর গতকাল বুধবার মুক্তি পান। এদিন বিকেলে সম্রাটকে মুক্তির অংশ হিসেবে বিএসএসএমইউর করোনারি কেয়ার ইউনিটের (সিসিইউ) ওয়ার্ডের সামনে থেকে কারারক্ষীদের সরানো হয়। বন্দী হিসেবে এখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।

২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

আপনার মন্তব্য

আলোচিত